ঢাকামঙ্গলবার , ৫ আগস্ট ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আইন ও পরামর্শ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আবহাওয়া
  8. ইসলাম
  9. কর্পোরেট
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. ক্রিকেট
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্টগ্রাম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দাঁত তোলার পরও দেখা দেয় অনেকের সমস্যা

Zahid Hassan
আগস্ট ৫, ২০২৫ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দাঁত ওঠানোর পর অনেকে নতুন সমস্যা নিয়ে আসেন। যেমন—সেখানে প্রচণ্ড ব্যথা বা কয়েকদিন হয়ে গেলেও সেখান থেকে রক্ত পড়ছে। দাঁত ওঠানোর পর ঠিকমতো রক্ত জমাট না বাঁধা, ধূমপান করা বা ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় ‘ড্রাই সকেট’ নামে একটি রোগ হয়, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং অনেকদিন ভোগায়। আবার সেখানে খাবার জমে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে ব্লিডিং শুরু হতে পারে।

দাঁত ওঠানোর পর আমাদের প্রধানত তিনটি লক্ষ্য থাকে—

১. ব্যথা কমানো

২. রক্তপাত বন্ধ করা

৩. সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করা

দাঁত ওঠানোর পরের ৪০ মিনিট: আপনার ডেন্টিস্ট ক্ষতস্থানে যে তুলা গুঁজে দেবেন, তা শক্ত করে কামড় দিয়ে রাখতে হবে। তখন মুখ খুলবেন না এবং থুথু ফেলার চেষ্টা করবেন না। মুখে যা আসে, গিলে ফেলতে হবে। কোনো কারণে সেই তুলা জায়গা থেকে সরে গেলে রক্তপাত সহজে বন্ধ হবে না।

দাঁত ওঠানোর পরের ২৪ ঘণ্টা: তখন গরম ও শক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, যা কিছু খাবেন, নরম ও ঠান্ডা করে খাবেন। জোরে কুলি ও ব্রাশ করবেন না এবং জিহ্বা দিয়ে ক্ষতস্থানে নাড়াচাড়া করা যাবে না। এতে জমাট বাঁধা রক্ত গলে ফের রক্তপাত হতে পারে।

২৪ ঘণ্টা পর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ: দাঁত ফেললে যে গর্ত তৈরি হয় (যদিও তা কিছুদিন পর এমনিতেই ভরাট হয়ে যায়), সেখানে খাবার জমে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হওয়ার সুযোগ থাকে। তাই ২৪ ঘণ্টা পর থেকে জোরে জোরে কুলি করতে হবে, যাতে সেখানে কোনোভাবেই খাবার জমতে না পারে। হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে ছয় থেকে সাতবার, সঙ্গে মাউথওয়াশ দিয়ে দুই বার কুলি করবেন। এ সময় ধূমপান করা যাবে না এবং যারা ওরাল কন্ট্র্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার করেন, তা বন্ধ রাখতে হবে। সে সময় ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, যা দ্রুত মাড়ি সেরে উঠতে সহায়তা করে।

দাঁত ওঠানোর পর অ্যানেসথেসিয়ার কারণে মুখের কিছু অংশ ভারী ভারী মনে হওয়া বা ফুলে যাওয়া, থুথুর সঙ্গে অল্প অল্প রক্ত আসা স্বাভাবিক। দুই থেকে তিন দিনের মাথায় সেটি সেরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আপনার ডেন্টাল সার্জন অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশকসহ যে ব্যবস্থাপত্র দেবেন, সেটা পুরোপুরি অনুসরণ করতে হবে।