ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে

তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিস্তা নদীর অববাহিকায় বাড়ছে পানি। পাশের দেশ ভারতের উত্তর সিকিম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাড়ছে বন্যার সম্ভাবনা। পানির চাপ সামলানোর জন্য ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে সব কয়টি পানির গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারপর থেকে দুই অঞ্চলে বাড়ছে পানির পরিমাণ। এতে করে তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ১ থেকে ৩ দিনের মধ্য দেশের উত্তর অঞ্চল এবং উজান এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার পানি এবং বৃষ্টির পানি মিলিয়ে ধরলা ও দুধকুমার নদীর সমূহের পানি অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। এতে এসকল নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

পানি উন্নয়নের বোর্ডের সূত্র থেকে আরও জানা যায়, রংপুর এবং লালমনিরহাটের কয়েকটি পয়েন্টে ৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। ঠিক একই সময়ে ভারতের সিকিমে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তিস্তায় পানি বাড়ার কারণে এর আশেপাশের কয়েকটি জেলা লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, নীলফামারী, পীরগাছা, কুড়িগ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলের চর এবং নিচু এলাকাগুলো গুলো পানির নিচে নিমজ্জিত হচ্ছে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক ফসল।

তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা

এই অঞ্চলের এক বাসিন্দা জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে অনেক বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বেড়ে গিয়ে এলাকায় ইতিমধ্যে ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে। তিস্তা নদীর আশেপাশে এখন পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ টি ঘর এবং বেশ কিছু স্থাপনা নদীর পানিতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে বন্যার পানির হুমকিতে রয়েছে আশেপাশের গ্রামের কয়েকশো বাড়ি, স্কুল, কলেজ ও মসজিদ।

আসন্ন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাউনিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক সাংবাদিকদের কে জানান, উজানের ঢালের বন্যায় যাতে গ্রামবাসী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকারিভাবে আগাম প্রস্তুতি শুরু করছি আমরা। একই সাথে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষদের পরিস্থিতি যাচাই করছি। যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতিতে সরকারিভাবে তাদের সাহায্য করা হবে।

এদিকে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢালের পানিতে গুরুতর হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের কে বলেন, পাশের দেশ ভারতে চেরাপুঞ্জিতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের মাধ্যমে পানি এদিকে আসছে। এর ফলে সুনামগঞ্জে বিভিন্ন এলাকার নদ এবং নদীতে পানি অনেক দ্রুত বাড়ছে। এরকম পানি আসা অব্যাহত থাকলে আজকের অথবা কালকের মধ্যে সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০৬:২৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

তিস্তা নদীর অববাহিকায় বাড়ছে পানি। পাশের দেশ ভারতের উত্তর সিকিম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাড়ছে বন্যার সম্ভাবনা। পানির চাপ সামলানোর জন্য ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে সব কয়টি পানির গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারপর থেকে দুই অঞ্চলে বাড়ছে পানির পরিমাণ। এতে করে তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ১ থেকে ৩ দিনের মধ্য দেশের উত্তর অঞ্চল এবং উজান এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার পানি এবং বৃষ্টির পানি মিলিয়ে ধরলা ও দুধকুমার নদীর সমূহের পানি অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। এতে এসকল নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

পানি উন্নয়নের বোর্ডের সূত্র থেকে আরও জানা যায়, রংপুর এবং লালমনিরহাটের কয়েকটি পয়েন্টে ৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। ঠিক একই সময়ে ভারতের সিকিমে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তিস্তায় পানি বাড়ার কারণে এর আশেপাশের কয়েকটি জেলা লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, নীলফামারী, পীরগাছা, কুড়িগ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলের চর এবং নিচু এলাকাগুলো গুলো পানির নিচে নিমজ্জিত হচ্ছে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক ফসল।

তিস্তার পানিতে বন্যার সম্ভাবনা

এই অঞ্চলের এক বাসিন্দা জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে অনেক বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বেড়ে গিয়ে এলাকায় ইতিমধ্যে ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে। তিস্তা নদীর আশেপাশে এখন পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ টি ঘর এবং বেশ কিছু স্থাপনা নদীর পানিতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে বন্যার পানির হুমকিতে রয়েছে আশেপাশের গ্রামের কয়েকশো বাড়ি, স্কুল, কলেজ ও মসজিদ।

আসন্ন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাউনিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক সাংবাদিকদের কে জানান, উজানের ঢালের বন্যায় যাতে গ্রামবাসী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকারিভাবে আগাম প্রস্তুতি শুরু করছি আমরা। একই সাথে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষদের পরিস্থিতি যাচাই করছি। যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতিতে সরকারিভাবে তাদের সাহায্য করা হবে।

এদিকে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢালের পানিতে গুরুতর হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের কে বলেন, পাশের দেশ ভারতে চেরাপুঞ্জিতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের মাধ্যমে পানি এদিকে আসছে। এর ফলে সুনামগঞ্জে বিভিন্ন এলাকার নদ এবং নদীতে পানি অনেক দ্রুত বাড়ছে। এরকম পানি আসা অব্যাহত থাকলে আজকের অথবা কালকের মধ্যে সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।