টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৩:০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
লায়লা আক্তার ফরহাদের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে টিকটকার প্রিন্স মামুনকে (২৫)। টিকটকার প্রিন্স মামুনের আসল নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ আল মামুন। সেই সাথে আজ মঙ্গলবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
টিকটকার প্রিন্স মামুনের গ্রেফতারের ব্যাপারে জানা যায় লায়লা আক্তার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩০৭ ও ৫০৬ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার পদক্ষেপ হিসেবে টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেফতারের ব্যাপারে ফেসবুকে বলেন, বিগত কয়েক মাস আগে আমার ও লায়লার মাঝে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। তখন মানসিকভাবে উত্তেজিত হয়ে কিছুটা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং পরবর্তীতে লায়লা আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি আমি এখন আইনিভাবে মোকাবেলা করব।
টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেপ্তারের বিষয়ে আরোও বলেন, লায়লা আমাকে বলেছিল যে মামলাটি সে তুলে নেবে। এ কারণে আমিও আর আদালতে কোন হাজিরা দিতে যাইনি। আর হাজিরায় উপস্থিত না হওয়ার কারণে আদালত আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেফতার
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা যে থানায় মামলা করেছেন সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদেরকে বলেন, গতকাল সোমবার রাত ৯ টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ টিকটকার প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করে। টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। এখন প্রিন্স মামুনকে থানার পক্ষ থেকে আদালতে হস্তান্তর করা হবে।
টিকটকান প্রিন্স মামুনের গ্রেফতার এবং মামলার বিষয়ে লায়লা বলেন, প্রিন্স মামুনের সাথে বিগত কয়েক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। মামলায় লায়লা আরও উল্লেখ করেন, টিকটকার প্রিন্স মামুন তাকে থাকার জায়গা দিতে বললে সরল মনে বিশ্বাস করে নিজের বাসায় তাকে থাকতে দেন।
সে হিসেবে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে টিকটকার প্রিন্স মামুন তার বাসায় বসবাস শুরু করেন। সেই সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামুন তার সাথে একাধিকবার শারীরিক স্থাপন সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললে টিকটকার প্রিন্স মামুন খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
এরপরে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে টিকটকার প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নিয়ে সমালোচনার ঝড় এবং অভিনেতাদের বয়কটের ডাক দিয়েছে জনগণ। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।