তাকবিরে তাশরিক কি ও কখন পড়তে হয়
- আপডেট সময় : ১১:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
আজ জিলহজ মাসের ৫ তারিখ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাকবিরে তাশরিক পড়া শুরু করবেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশে ১৬ জুন রবিবার থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। এটি পড়তে হবে আগামী ১৩ জিলহজ অথবা ইংরেজি হিসেবে ২০ জুন আসরের নামাজ পর্যন্ত।
৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত এই মধ্যবর্তী দিনগুলোকে তাকবিরে তাশরিকের দিন বলা হয়। অর্থাৎ এই ৫ দিন প্রত্যেক ফরয নামাযের পর অন্তত একবার ” আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ” এই তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। (হেদায়া: ১/২৮৫)
তাকবিরে তাশরিক পড়ার কিছু নিয়ম রয়েছে চলুন জেনে নেই
• প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর ওয়াক্ত হতে ১৩ তারিখ আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবীরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
• পুরুষরা তাকবিরে তাশরিক উচ্চস্বরে আদায় করবেন এবং নারীরা নিচুস্বরে আদায় করবে। (হিন্দিয়া: ১/১৫২)
• কোন কারনে নামাজের শেষে ইমাম তাকবিরে তাশরিা পড়তে ভুলে গেলে মুক্তাদীরা নিজেরা তাকবিরে তাশরিক বলবেন। অর্থাৎ কোনভাবে এটি বাদ দেওয়া উচিত নয়। (ফাতাওয়া-হিদিয়া ১/১৫২)
• প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের শেষে সালামের পর কোন কথাবার্তা কিংবা দুনিয়াবী কোন কাজ না করার আগে তাকবিরে তাশরিক পড়ার নিয়ম। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৫২)
তাকবিরে তাশরিক কি ও কখন পড়তে হয়
• কোন মুসল্লী যদি তাকবিরে তাশরিক পড়তে ভুলে যায় তাহলে মসজিদ থেকে বের না হওয়ার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়ে নিবে। আর যদি ইতি মধ্যে মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে একটি ওয়াজিব ছুটে যাবে। সেই সাথে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার জন্য গুনাহগার হবে।
• কোন ব্যক্তি যদি জামায়াত মিস করে তাহলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ আদায় করার শেষে তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।
তাকবিরে তাশরিকের ফজিলত
আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) বলেছেন, এই দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিকের আমলের চেয়ে অন্য কোন উত্তম আমল নেই। এই কথার প্রেক্ষিতে সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, জি হা দও কি এর চেয়ে উত্তম নয়? নবী করীম (সা.) উত্তর দেন, জিহাদ ও নয়। তবে অবশ্যই সেই মুসলমানের ব্যাপার ভিন্ন, যে ব্যক্তি কিনা নিজের জান মালের ঝুঁকি নিয়ে জি হা দে যায় এবং কিছুই ফেরত নিয়ে আসে না। (সহীহ বুখারী ৯৬৯)
উক্ত হাদিস দ্বারা আমরা তাকবিরে তাশরিকের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পারি। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এটি ওয়াজিব এবং অবশ্য পালনীয়।
ঈদে আবহাওয়া কেমন থাকবে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।