ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবচাইতে ছোট দরুদ ও দরুদে ইব্রাহিম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে

সবচাইতে ছোট দরুদ ও দরুদে ইব্রাহিম

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাকে কেন্দ্র করে পুরো মানবজাতির ইতিহাস সৃষ্টি। আর তার নামে প্রশংসা করাই হচ্ছে দুরুদ। অনেকেই আবার সবচাইতে ছোট দরুদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এই দরুদ পাঠের মাধ্যমে কোন মুমিন বান্দার ঈমানের শক্তি আরো বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে মহান আল্লাহ তা’আলা দুরুদের কল্যাণেই নাজাতের মাধ্যম দিয়েছেন।

আমার আজকের পাঠকদের জন্য সবচাইতে ছোট দরুদ উপস্থাপন করলাম।

সকল দরুদ সময়ের মধ্যে সবচাইতে ছোট এবং উত্তম হলো দুরুদে ইব্রাহিম। সবচাইতে উত্তম দরুদটি প্রত্যেক নামাজের শেষ বৈঠকে পড়া হয়।

আর সবচাইতে ছোট দুরুদটি হলো;

” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”

সবচাইতে ছোট এই দরুদ পাঠের মাঠের মাধ্যমে সালাত ও সালামের হুকুম আদায় হয়ে যায়।

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মান জানানোর বেশ কয়েকটি দরুদ রয়েছে। তাকে সম্মান জানানোর ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা’আলা কুরআনে ঘোষণা করেছেন, আমি তোমাকে প্রেরন করেছি সাক্ষী রূপে, সেই সাথে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে। যাতে করে তোমরা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনতে পারো এবং তোমরা রাসূলকে শক্তির যোগাও এবং তাকে সম্মান করা। (সূরা ফাতাহ: আয়াত নং ৮ ও ৯)

মহান আল্লাহ তা’আলা রাসূলের মর্যাদায় আরো ঘোষনা করেন, আল্লাহ তাআলা নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং ফেরেশতারাও নবীর অনুগ্রহের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। হে মমিন বান্দাগণ, তোমরা অন্যদের জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং তাকে (রাসূল সা.) যথাযথভাবে সালাম করো। ( সূরা আহযাব: আয়াত ৫৬)

সবচাইতে ছোট দরুদ ও দরুদে ইব্রাহিম

ছোট দরুদ কিংবা দুরুদের ব্যাপারে আরও একটি হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবীর সঙ্গে হাশরের ময়দানে থাকতে চান তিনি যেন অনেক বেশি বেশি দরুদ পাঠ করেন।

এর মানে হচ্ছে যে ব্যক্তি বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করবে তার জন্য আমাদের প্রিয় নবী (সা.) হাশরের মাঠে তার জন্য সুপারিশ করবেন।

বেশি বেশি দরুদ পাঠের ফলে স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের রাসূল (সা.) এর জিয়ারত কপালে নসিব হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আরো একটি হাদিস আছে, বেশি বেশি দরুদ পাঠের মাধ্যমে যে ব্যক্তি প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এর সাক্ষাৎ লাভ করতে পারেন তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়।

সেই সাথে বেশি বেশি দরুদ পাঠের ফলে মহান আল্লাহতালা বান্দার সকল ধরনের বৈধ দোয়া কবুল করেন।

যখনই আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এর নাম উচ্চারণ করা হয় তখনই আমরা সবচাইতে ছোট দুরুদটি পড়ে থাকি। যেটির বাংলা উচ্চারণ আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এটি পাঠ করার মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবীর প্রতি সালাম পাঠানো হয় এবং দরুদ আদায় হয়ে যায়।

ছোট এই দুরূদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যে ফজিলত প্রদান করেন সেটি আমাদের জন্য বিশেষ রহমত ও বরকত।

তাই আল্লাহর অনুগ্রহ এবং নবীর প্রতি ভালোবাসা থেকে আমরা নিয়মিত দরুদ পাঠ করব। সেই সাথে সব চাইতে ছোট দূরত্ব টি পাঠ করব আমাদের প্রিয় নবীর নাম উল্লেখিত হওয়ার সাথে সাথে।

এছাড়া দুরুদে ইব্রাহিম আমরা প্রতিটি নামাজে নিয়মিত পাঠ করে থাকি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সবচাইতে ছোট দরুদ ও দরুদে ইব্রাহিম

আপডেট সময় : ১১:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাকে কেন্দ্র করে পুরো মানবজাতির ইতিহাস সৃষ্টি। আর তার নামে প্রশংসা করাই হচ্ছে দুরুদ। অনেকেই আবার সবচাইতে ছোট দরুদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এই দরুদ পাঠের মাধ্যমে কোন মুমিন বান্দার ঈমানের শক্তি আরো বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে মহান আল্লাহ তা’আলা দুরুদের কল্যাণেই নাজাতের মাধ্যম দিয়েছেন।

আমার আজকের পাঠকদের জন্য সবচাইতে ছোট দরুদ উপস্থাপন করলাম।

সকল দরুদ সময়ের মধ্যে সবচাইতে ছোট এবং উত্তম হলো দুরুদে ইব্রাহিম। সবচাইতে উত্তম দরুদটি প্রত্যেক নামাজের শেষ বৈঠকে পড়া হয়।

আর সবচাইতে ছোট দুরুদটি হলো;

” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”

সবচাইতে ছোট এই দরুদ পাঠের মাঠের মাধ্যমে সালাত ও সালামের হুকুম আদায় হয়ে যায়।

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মান জানানোর বেশ কয়েকটি দরুদ রয়েছে। তাকে সম্মান জানানোর ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা’আলা কুরআনে ঘোষণা করেছেন, আমি তোমাকে প্রেরন করেছি সাক্ষী রূপে, সেই সাথে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে। যাতে করে তোমরা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনতে পারো এবং তোমরা রাসূলকে শক্তির যোগাও এবং তাকে সম্মান করা। (সূরা ফাতাহ: আয়াত নং ৮ ও ৯)

মহান আল্লাহ তা’আলা রাসূলের মর্যাদায় আরো ঘোষনা করেন, আল্লাহ তাআলা নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং ফেরেশতারাও নবীর অনুগ্রহের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। হে মমিন বান্দাগণ, তোমরা অন্যদের জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং তাকে (রাসূল সা.) যথাযথভাবে সালাম করো। ( সূরা আহযাব: আয়াত ৫৬)

সবচাইতে ছোট দরুদ ও দরুদে ইব্রাহিম

ছোট দরুদ কিংবা দুরুদের ব্যাপারে আরও একটি হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবীর সঙ্গে হাশরের ময়দানে থাকতে চান তিনি যেন অনেক বেশি বেশি দরুদ পাঠ করেন।

এর মানে হচ্ছে যে ব্যক্তি বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করবে তার জন্য আমাদের প্রিয় নবী (সা.) হাশরের মাঠে তার জন্য সুপারিশ করবেন।

বেশি বেশি দরুদ পাঠের ফলে স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের রাসূল (সা.) এর জিয়ারত কপালে নসিব হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আরো একটি হাদিস আছে, বেশি বেশি দরুদ পাঠের মাধ্যমে যে ব্যক্তি প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এর সাক্ষাৎ লাভ করতে পারেন তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়।

সেই সাথে বেশি বেশি দরুদ পাঠের ফলে মহান আল্লাহতালা বান্দার সকল ধরনের বৈধ দোয়া কবুল করেন।

যখনই আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এর নাম উচ্চারণ করা হয় তখনই আমরা সবচাইতে ছোট দুরুদটি পড়ে থাকি। যেটির বাংলা উচ্চারণ আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এটি পাঠ করার মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবীর প্রতি সালাম পাঠানো হয় এবং দরুদ আদায় হয়ে যায়।

ছোট এই দুরূদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যে ফজিলত প্রদান করেন সেটি আমাদের জন্য বিশেষ রহমত ও বরকত।

তাই আল্লাহর অনুগ্রহ এবং নবীর প্রতি ভালোবাসা থেকে আমরা নিয়মিত দরুদ পাঠ করব। সেই সাথে সব চাইতে ছোট দূরত্ব টি পাঠ করব আমাদের প্রিয় নবীর নাম উল্লেখিত হওয়ার সাথে সাথে।

এছাড়া দুরুদে ইব্রাহিম আমরা প্রতিটি নামাজে নিয়মিত পাঠ করে থাকি।