শিলাস্তি রহমান হানিট্র্যাপ
- আপডেট সময় : ০৬:৫০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
হানিট্র্যাপের নাম শুনেছেন কখনো? না শুনে থাকলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই। কোন মানুষকে যখন মেয়েদের দ্বারা ফাঁদে ফেলা হয় তখন সেটিকে হানি ট্র্যাপ বলা হয়। ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ঘটনায় হানি ট্র্যাপ পাতা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর হানিফ ট্র্যাপ তৈরিতে ছিলেন শিলাস্তি রহমান নামের এক তরুণী।
তদন্তর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে মারার জন্য কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিলাস্তি রহমান নামের তরুণী। তাছাড়া শিলাস্তি রহমান মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের ফ্রেন্ড। আনোয়ারুল আজীম আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেই ফ্ল্যাটে আনার জন্য শিলাস্তি রহমানকে দিয়ে ফোন করানো হয়েছিল।
তাদের মিশন শেষ করে গত ১৫ মে দেশে ফিরেন শিলাস্তুি রহমান এবং আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। ২ জন কেই পুলিশ ইতিমধ্য গ্রেফতার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের জেরার মুখে শিলাস্তির রহমান ইতিমধ্য বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যেই ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে মা রা হয়েছে সেটি গত ৩০শে এপ্রিল ভাড়া নেন আখতারুজ্জামান শাহীন। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ গোয়েন্দা পুলিশ বিশ্লেষণ করেছে।
শিলাস্তি রহমান হানিট্র্যাপ
ঘটনার দিন গত ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে একসঙ্গে তিনজন প্রবেশ করেন। ৩ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী। ওই নারীর ছিলেন হানি ট্র্যাপের শিলাস্তি রহমান। এমপি আনারকে বাংলাদেশ হতে কলকাতা নেওয়ার জন্য শিলাস্তি রহমানকে ব্যবহার করা হয়।
মূল ঘটনার সময় শিলাস্তুি রহমান ওই ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করেছিলেন তবে তিনি সামনে ছিলেন না। ঘটনার পর তিনি নিচে নেমে আসেন। তারপর এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ বাইরে নেওয়ার কাজে সাহায্য করেন।
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ টুকরো টুকরো করে বাইরে নেওয়ার কাজে সাহায্য করেছিলেন শিলাস্তি রহমান। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই ট্রলিতে করে দেহটি বাইরে নিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশের অংশগুলোর সন্ধানে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ বা সিআইডি ইতিমধ্য অভিযান শুরু করেছে। গতকাল রাত ১২ টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে বলে জানা যায়।
এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীন। উক্ত মিশনে ৫ কোটি টাকার চুক্তির বেশিও তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন এসময় আমি ভারতে ছিলাম না আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনারুল আজিম আনোয়ারের হ ত্যা মামলার রহস্য খোলার আশায় দেশের জনগণ। একের পর এক যেভাবে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে তা যেনো সিনেমাকেও হার মানায়।