ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে চলেছে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব। রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে ইতিমধ্য শোনা যাচ্ছে মৃত্যুর খবর। বিশেষ করে ক্ষেতে চাষাবাদ করতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপের আক্রমণের স্বীকার হচ্ছে কৃষকরা।

রাসেল ভাইপার সাপের কামড় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের জন্য মনের দিন দিন আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ালে করনীয় কি সে ব্যাপারে আমাদের সবার জানা থাকা দরকার।

রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ালে করণীয়

বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের ২৫ টি জেলায় খুব ভালোভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে রাসেল ভাইপার। প্রায়ই ওই সকল এলাকা থেকে নানারকম মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। আজকেও বাগানের কাজ করতে গিয়ে একজন কৃষক রাসেল ভাইপার কামড়ে হাসপাতালে আছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মোঃ হাসান তারেক জানান, রাসেল ভাইপারের কামড়ে একজন ব্যক্তির কিডনি খুব দ্রুত অকেজো হয়ে পরে। তারপর দংশনের স্থানে আস্তে আস্তে জ্বালাপোড়া এবং মাংসগুলো পচন ধরতে শুরু করে।

তারপর আক্রমণের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খুব দ্রুত চিকিৎসা প্রদান না করা সম্ভব হলে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যায়।

রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজের না।

রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয়

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সেই অধ্যাপক আরো বলেন, ২০১৫ সালের দিকে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত একজন রোগী পেয়েছিলাম। উক্ত সময়ে আক্রান্ত রোগীর হাত-পা কেটে ফেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাই রাসেল ভাইপার সাপের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতাই সবচাইতে কার্যকর পথ।

তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক মোঃ ফরিদ আহসান পরামর্শ দেন, রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে যদি দাঁত বসে যায় তাহলে ক্ষতস্থানের জায়গাটি সহ উপরে নিচের বেশ খানিকটা জায়গা হালকা করে ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে যথাসম্ভব কম নড়াচাড়া করতে হবে।

আক্রান্ত রোগীর হাঁটাচলা একদমই বন্ধ করে দিতে হবে যাতে রক্ত চলাচল কম হয় এবং বিষ যাতে সারা শরীরের ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তারপর রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

তবে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের সাধারণত এম্বুলেন্স সার্ভিস কিংবা সব সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীকে মোটরসাইকেলে দুই আরোহীে মাঝে বসিয়ে নেয়া যেতে পারে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া যাবে।

আর যদি হাসপাতালে নিতে দেরি হয় তাহলে আক্রান্ত রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে।

আশা করি রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ালে করনীয় সম্পর্কে আপনাদের যথেষ্ট ধারণা হয়েছে।

তবে আমাদের দেশের যে সকল কৃষক ভাইয়েরা ক্ষেতে খামারে কিংবা ঝোপে ঝাড়ে কাজ করেন তাদের অবশ্যই গাম বুট পড়ে কাজ করা উচিত। সাপের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সবসময় সাথে লাঠি ও এক দুজন করে সঙ্গী রাখা প্রয়োজন। এতে করে হয়তো রক্ষা পাবে অনেক জীবন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয়

আপডেট সময় : ১১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে চলেছে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব। রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে ইতিমধ্য শোনা যাচ্ছে মৃত্যুর খবর। বিশেষ করে ক্ষেতে চাষাবাদ করতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপের আক্রমণের স্বীকার হচ্ছে কৃষকরা।

রাসেল ভাইপার সাপের কামড় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের জন্য মনের দিন দিন আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ালে করনীয় কি সে ব্যাপারে আমাদের সবার জানা থাকা দরকার।

রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ালে করণীয়

বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের ২৫ টি জেলায় খুব ভালোভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে রাসেল ভাইপার। প্রায়ই ওই সকল এলাকা থেকে নানারকম মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। আজকেও বাগানের কাজ করতে গিয়ে একজন কৃষক রাসেল ভাইপার কামড়ে হাসপাতালে আছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মোঃ হাসান তারেক জানান, রাসেল ভাইপারের কামড়ে একজন ব্যক্তির কিডনি খুব দ্রুত অকেজো হয়ে পরে। তারপর দংশনের স্থানে আস্তে আস্তে জ্বালাপোড়া এবং মাংসগুলো পচন ধরতে শুরু করে।

তারপর আক্রমণের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খুব দ্রুত চিকিৎসা প্রদান না করা সম্ভব হলে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যায়।

রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজের না।

রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয়

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সেই অধ্যাপক আরো বলেন, ২০১৫ সালের দিকে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত একজন রোগী পেয়েছিলাম। উক্ত সময়ে আক্রান্ত রোগীর হাত-পা কেটে ফেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাই রাসেল ভাইপার সাপের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতাই সবচাইতে কার্যকর পথ।

তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক মোঃ ফরিদ আহসান পরামর্শ দেন, রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে যদি দাঁত বসে যায় তাহলে ক্ষতস্থানের জায়গাটি সহ উপরে নিচের বেশ খানিকটা জায়গা হালকা করে ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে যথাসম্ভব কম নড়াচাড়া করতে হবে।

আক্রান্ত রোগীর হাঁটাচলা একদমই বন্ধ করে দিতে হবে যাতে রক্ত চলাচল কম হয় এবং বিষ যাতে সারা শরীরের ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তারপর রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

তবে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের সাধারণত এম্বুলেন্স সার্ভিস কিংবা সব সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীকে মোটরসাইকেলে দুই আরোহীে মাঝে বসিয়ে নেয়া যেতে পারে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া যাবে।

আর যদি হাসপাতালে নিতে দেরি হয় তাহলে আক্রান্ত রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে।

আশা করি রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ালে করনীয় সম্পর্কে আপনাদের যথেষ্ট ধারণা হয়েছে।

তবে আমাদের দেশের যে সকল কৃষক ভাইয়েরা ক্ষেতে খামারে কিংবা ঝোপে ঝাড়ে কাজ করেন তাদের অবশ্যই গাম বুট পড়ে কাজ করা উচিত। সাপের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সবসময় সাথে লাঠি ও এক দুজন করে সঙ্গী রাখা প্রয়োজন। এতে করে হয়তো রক্ষা পাবে অনেক জীবন।