ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে

রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। উক্ত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত। ফ্রিল্যান্সিং বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য ব্যবস্থা রেখে এই উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানিয়েছেন তিনি।

গত ২২ জুন শনিবার জাতীয় সংসদের বাজেটের উপর আলোচনার অংশ নিয়ে ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত এই প্রস্তাবটি রাখেন। উক্ত অধিবেশনের শব্দ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত এ ব্যাপারে বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি প্রযুক্তির পক্ষে। সেই সাথে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট-বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু আমাদের এই ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার যেভাবে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে আমার মনে হয় খুব বেশিদিন এই প্রজন্ম সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবে না।

বিশ্ব বিখ্যাত ধনী ব্যক্তি বিল গেটস বলেছেন, আমার সন্তানকে আমি ১৬ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত মোবাইল ফোন দেইনি।

মার্টিন কুপার কিছুদিন আগে বলেছেন, আমি যদি জানতাম একজন মানুষ মোবাইল ফোনের সঙ্গে ৫/৬ ঘণ্টা বা তার অধিক সময় ধরে লেগে থাকবে তাহলে মোবাইল আবিষ্কার করা আমার জন্য নির্মম ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে বুকার প্রাইজ উইনার হাওয়াই জ্যাকসন ঘোষণা দেন, জনসংখ্যার বেশিরভাগ অংশ আগামী ২০ বছর পরে প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে। তারা শুধুমাত্র প্রযুক্তি চালাতে জানবে কিন্তু কোন কিছু কম্পোজিশন বা শিখতে পারবে না।

রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব

এত সকল বিষয়বস্তু বিবেচনা করে জাতীয় সংসদে রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার গুলো বন্ধ রাখা যায় কিনা সে ব্যাপারে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডা. প্রাণ গোপাল। তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত কিংবা ইন্টারনেটে কাজ করেন তাদের অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা অবশ্যই রেখে কাজটি করতে হবে।

ডা. প্রাণ গোপাল আর ও বলেন, দিন দিন আমার রোগীর সংখ্যা যেভাবে হু হু করে বাড়ছে ১০ বছর পরে সবারই একই ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। কানে শোনার অসুবিধা, চোখে দেখার অসুবিধা কিংবা লেখাপড়ায় মন দিতে পারে না।

মোবাইল ব্যবহার করে করে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম প্রতিবন্ধীতার তার দিকে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি সকাল ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত আমাদের তরুণ সমাজকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা উচিৎ।

ডাক্তার প্রাণ গোপাল বলেন, আমাদের তরুণ সমাজের শিক্ষার ক্ষেত্রে ১০০ বছরের কথা চিন্তার কোন বিকল্প নেই। একটা সুস্থ তরুণ সমাজ পেতে গেলে দরকার সেই অনুযায়ী মেডিকেশন।

উক্ত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ডাক্তার প্রাণ গোপাল ট্যাক্স নিয়েও কথা বলেন। আমরা কালো টাকা সাদা করার কথা তুলেছি। সেই সাথে প্রদর্শিত আয়ের উপরে কর হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার উপরে ৩০ শতাংশ। কিন্তু যিনি গত বছর কর দেননি তিনি এই বছর অপদর্শিত বৈধ আয়ের উপরে ১৫ পারসেন্ট ট্যাক্স দিচ্ছেন। এতে করে যারা সব সময় বৈধ আয়ের উপরে কর দিয়ে থাকেন তারা অনুৎসাহিত হবেন।

সর্বোপরি ডাক্তার প্রাণ গোপাল সকল রাত ১০ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শুধুমাত্র তরুণ সমাজের কথা ভেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব

আপডেট সময় : ১১:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। উক্ত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত। ফ্রিল্যান্সিং বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য ব্যবস্থা রেখে এই উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানিয়েছেন তিনি।

গত ২২ জুন শনিবার জাতীয় সংসদের বাজেটের উপর আলোচনার অংশ নিয়ে ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত এই প্রস্তাবটি রাখেন। উক্ত অধিবেশনের শব্দ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত এ ব্যাপারে বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি প্রযুক্তির পক্ষে। সেই সাথে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট-বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু আমাদের এই ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার যেভাবে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে আমার মনে হয় খুব বেশিদিন এই প্রজন্ম সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবে না।

বিশ্ব বিখ্যাত ধনী ব্যক্তি বিল গেটস বলেছেন, আমার সন্তানকে আমি ১৬ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত মোবাইল ফোন দেইনি।

মার্টিন কুপার কিছুদিন আগে বলেছেন, আমি যদি জানতাম একজন মানুষ মোবাইল ফোনের সঙ্গে ৫/৬ ঘণ্টা বা তার অধিক সময় ধরে লেগে থাকবে তাহলে মোবাইল আবিষ্কার করা আমার জন্য নির্মম ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে বুকার প্রাইজ উইনার হাওয়াই জ্যাকসন ঘোষণা দেন, জনসংখ্যার বেশিরভাগ অংশ আগামী ২০ বছর পরে প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে। তারা শুধুমাত্র প্রযুক্তি চালাতে জানবে কিন্তু কোন কিছু কম্পোজিশন বা শিখতে পারবে না।

রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধ রাখার প্রস্তাব

এত সকল বিষয়বস্তু বিবেচনা করে জাতীয় সংসদে রাত ১০ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার গুলো বন্ধ রাখা যায় কিনা সে ব্যাপারে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডা. প্রাণ গোপাল। তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত কিংবা ইন্টারনেটে কাজ করেন তাদের অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা অবশ্যই রেখে কাজটি করতে হবে।

ডা. প্রাণ গোপাল আর ও বলেন, দিন দিন আমার রোগীর সংখ্যা যেভাবে হু হু করে বাড়ছে ১০ বছর পরে সবারই একই ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। কানে শোনার অসুবিধা, চোখে দেখার অসুবিধা কিংবা লেখাপড়ায় মন দিতে পারে না।

মোবাইল ব্যবহার করে করে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম প্রতিবন্ধীতার তার দিকে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি সকাল ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত আমাদের তরুণ সমাজকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা উচিৎ।

ডাক্তার প্রাণ গোপাল বলেন, আমাদের তরুণ সমাজের শিক্ষার ক্ষেত্রে ১০০ বছরের কথা চিন্তার কোন বিকল্প নেই। একটা সুস্থ তরুণ সমাজ পেতে গেলে দরকার সেই অনুযায়ী মেডিকেশন।

উক্ত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ডাক্তার প্রাণ গোপাল ট্যাক্স নিয়েও কথা বলেন। আমরা কালো টাকা সাদা করার কথা তুলেছি। সেই সাথে প্রদর্শিত আয়ের উপরে কর হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার উপরে ৩০ শতাংশ। কিন্তু যিনি গত বছর কর দেননি তিনি এই বছর অপদর্শিত বৈধ আয়ের উপরে ১৫ পারসেন্ট ট্যাক্স দিচ্ছেন। এতে করে যারা সব সময় বৈধ আয়ের উপরে কর দিয়ে থাকেন তারা অনুৎসাহিত হবেন।

সর্বোপরি ডাক্তার প্রাণ গোপাল সকল রাত ১০ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শুধুমাত্র তরুণ সমাজের কথা ভেবে।