ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া এখনকার সময়ে খুব একটা সহজ নয়। প্রাইমারি চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য মোটামুটি বিসিএস প্রিলির সমান প্রিপারেশন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে আপনারা যারা নতুনভাবে প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ দিক নির্দেশনা। চলুন কথা না বাড়ি জেনে নেই কিভাবে প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেন।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার আগে চলুন জেনে নেই এর সিলেবাস সম্পর্কে।

প্রাইমারি চাকরির নিয়োগ মূলত ২ টি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাইমারি চাকরির প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায অনুষ্ঠিত হয় ৮০ নম্বরের এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন পদ্ধতিতে। উক্ত পরীক্ষার প্রশ্নের প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় কোনভাবেই সঠিক উত্তর না জেনে দাগানো উচিত নয়।

৮০ নম্বরের লিখিত বা এমসিকিউ পরীক্ষা যারা উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে পরবর্তীতে প্রাইমারি চাকরির ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন হয় মূলত ২০ নম্বরে। তারপর উভয় পরীক্ষার রেজাল্ট সমন্বয় করে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশিত করা হয়।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা সম্বন্ধে তো জানলেন। চলুন এবার জেনে নেই প্রাইমারি চাকরির পরীক্ষাগুলোর সিলেবাস। প্রাইমারি চাকরির লিখিত পরীক্ষায় মূলত বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত বিভাগ হতে প্রশ্ন করা হয়।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি

সাধারণ জ্ঞানের ভেতর আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ বিষয়াবলী, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার সহ অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য গণিত কিভাবে পড়বেন?

প্রাইমারি চাকরির গণিত বিষয়ের জন্য হাইস্কুলের অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত গণিত বইটি ভালোভাবে করুন। সেই সাথে বিগত বছর আসা প্রশ্নগুলো দিয়ে বারবার নিজে নিজে পরীক্ষা দিন। সাধারণত হাইস্কুলের সকল বই থেকেই গণিতের বেশিরভাগ অংক কমন পড়ে। অনেকেই জ্যামিতির অংশ গুলো ভালোভাবে বোঝেন না। এটি মূলত না বুঝে পড়ার কারণে হয়।

ইংরেজি ও অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তুতি

ইংরেজির জন্য প্রত্যেকটি গ্রামারের আইটেম ভালোভাবে পড়ুন। প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য গ্রামার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বেশিরভাগ চাকরি প্রত্যাশী ইংরেজিতে ভালো না করার কারণে প্রাইমারিতে টিকতে পারে না। তাই আপনি যদি ইংরেজি ভালোভাবে পড়েন এবং সাহিত্য অংশে কিছু প্রিপারেশন নেন তাহলে আপনি অবশ্যই প্রাইমারি চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য বাংলা সহ অন্যান্য বিষয়গুলি সাধারণত বিগত সালের বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়লে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। আপনি বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর আলাদা আলাদা গাইড পাবেন। সেগুলো থেকে বিগত সালের সরকারি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং প্রত্যেকটি টপিক ধরে ধরে প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

এতে করে আপনি প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

লেখাপড়া এর পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেটা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ১২:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া এখনকার সময়ে খুব একটা সহজ নয়। প্রাইমারি চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য মোটামুটি বিসিএস প্রিলির সমান প্রিপারেশন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে আপনারা যারা নতুনভাবে প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ দিক নির্দেশনা। চলুন কথা না বাড়ি জেনে নেই কিভাবে প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেন।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার আগে চলুন জেনে নেই এর সিলেবাস সম্পর্কে।

প্রাইমারি চাকরির নিয়োগ মূলত ২ টি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাইমারি চাকরির প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায অনুষ্ঠিত হয় ৮০ নম্বরের এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন পদ্ধতিতে। উক্ত পরীক্ষার প্রশ্নের প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় কোনভাবেই সঠিক উত্তর না জেনে দাগানো উচিত নয়।

৮০ নম্বরের লিখিত বা এমসিকিউ পরীক্ষা যারা উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে পরবর্তীতে প্রাইমারি চাকরির ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন হয় মূলত ২০ নম্বরে। তারপর উভয় পরীক্ষার রেজাল্ট সমন্বয় করে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশিত করা হয়।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা সম্বন্ধে তো জানলেন। চলুন এবার জেনে নেই প্রাইমারি চাকরির পরীক্ষাগুলোর সিলেবাস। প্রাইমারি চাকরির লিখিত পরীক্ষায় মূলত বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত বিভাগ হতে প্রশ্ন করা হয়।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি

সাধারণ জ্ঞানের ভেতর আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ বিষয়াবলী, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার সহ অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য গণিত কিভাবে পড়বেন?

প্রাইমারি চাকরির গণিত বিষয়ের জন্য হাইস্কুলের অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত গণিত বইটি ভালোভাবে করুন। সেই সাথে বিগত বছর আসা প্রশ্নগুলো দিয়ে বারবার নিজে নিজে পরীক্ষা দিন। সাধারণত হাইস্কুলের সকল বই থেকেই গণিতের বেশিরভাগ অংক কমন পড়ে। অনেকেই জ্যামিতির অংশ গুলো ভালোভাবে বোঝেন না। এটি মূলত না বুঝে পড়ার কারণে হয়।

ইংরেজি ও অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তুতি

ইংরেজির জন্য প্রত্যেকটি গ্রামারের আইটেম ভালোভাবে পড়ুন। প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য গ্রামার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বেশিরভাগ চাকরি প্রত্যাশী ইংরেজিতে ভালো না করার কারণে প্রাইমারিতে টিকতে পারে না। তাই আপনি যদি ইংরেজি ভালোভাবে পড়েন এবং সাহিত্য অংশে কিছু প্রিপারেশন নেন তাহলে আপনি অবশ্যই প্রাইমারি চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য বাংলা সহ অন্যান্য বিষয়গুলি সাধারণত বিগত সালের বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়লে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। আপনি বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর আলাদা আলাদা গাইড পাবেন। সেগুলো থেকে বিগত সালের সরকারি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং প্রত্যেকটি টপিক ধরে ধরে প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

এতে করে আপনি প্রাইমারি চাকরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন।

লেখাপড়া এর পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেটা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।