অতিরিক্ত মাংস খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে
- আপডেট সময় : ১১:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
আমাদের দেশে কোরবানির ঈদের মূল খাদ্য হলো মাংস। গরু, খাসি, মহিষ, এমন কি কেউ কেউ উটও জবাই দিয়ে থাকে। শুধু যে নিজের বাসায় মাংশ খাই তাই নয়, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ঘুরে ঘুরে সারাদিন মাংস খাওয়া হয়ে থাকে।
মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ ব্যাপারটি এরকম নয়। তবে সেটা যদি মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে হয় তাহলে হতে পারে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া কিংবা বদহজম।
অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
অস্বস্তি অনুভব হওয়া
অতিরিক্ত মাংস খেলে পেটে অস্বস্তি এবং ব্যথা অনুভব হতে পারে। সেই সাথে পেট ফুলে যাওয়া, কিছুক্ষণ পর পর ব্যথা হওয়া, বমি হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া কিংবা নার্ভাস দেখা দিতে পারে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো এ সকল সমস্যার সরাসরি কোন প্রতিকার নেই। তাই আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে দিন কাটাতে চান তাহলে একদিনে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পেট ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত শাকসবজি খান।
অতিরিক্ত মাংস খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে
এলার্জি
লাল মাংস অত্যন্ত এলার্জি যুক্ত খাবার। অনেকেই মাংস খাওয়ার ফলে এলার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট, বমি এবং মাথা ঘোরার মত দেখা দেয়। আপনার যদি লাল মাংশে এলার্জি থাকে তাহলে এটি একদম না খাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে আপনি দেশি মুরগি কিংবা টার্কি খেতে পারেন। শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য ডিম মটরশুঁটি খান। এলার্জি থেকে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
বদহজম
অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয় সেটি হচ্ছে বদহজম। তাই মাংস খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। একবার বদহজম কিংবা ফুড পয়জনিং হয়ে গেলে সেটি থেকে সুস্থ হতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়। আর যদি এরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যান তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন গ্রহণ করুন।
গ্যাস্ট্রাইটিস
অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে আরেকটি যে সমস্যা হয় সেটি হচ্ছে গ্যাস্ট্রাইটিস। এর ফলে পেটে জ্বালাপোড়া, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ইমিউন ডিজ অর্ডার সহ নানা সমস্যায় ভুগে দীর্ঘদিন ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন হতে পারে।
মাংস একটি মজাদার খাবার। সেই সাথে প্রোটিনের বড় একটি উৎস। আমরা সবাই মাংস খেতে পারি যদি আমাদের কোন মেডিকেল প্রবলেম না থাকে। কিন্তু আপনি যদি হঠাৎ করে একদিনে অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস খান তাহলে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। তাই পরিমিত পরিমাণে মাংস খাওয়া উচিত।