আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পরিচয়
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি আলোচনা হচ্ছে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে নিয়ে। আমাদের দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণত বেতন ভাতা খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু সেই সাধারণ চাকরিজীবীদের সম্পদের পরিমাণ যদি বিল গেটস কিংবা ইলন মাস্কের মত হয় তাহলে ব্যাপারটা খুবই অসঙ্গতিপূর্ণ।
রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান সাধারণ সরকারি চাকরি করে পরিবারের নামে করেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
সেই সাথে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ৫০০ কোটি টাকার সম্পদের হিসাব মিলেছে শুধুমাত্র দেশেই। তাছাড়া ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও বিভিন্ন জায়গায় জমি, ফ্ল্যাট, এবং প্লট রয়েছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা আছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ১২ লাখ টাকার ছাগল কাণ্ডে তার ছেলেকেউ কিনে দিয়েছিলেন প্র্যাডো, প্রিমিও এবং ক্রাউনের মতো বিলাসবহুল সব গাড়ি। এসকল গাড়ি আবার বিভিন্ন কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করা। সেই সাথে কিনে দেওয়া হয়েছে দামি পাখিও।
ভাইরাল হওয়ার পর তার ছেলে ইফাতকে চিনেন না বলে দাবিও করেছেন রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এমনকি এই ভাইরাল রিফাত তার আত্মীয়র মধ্যে বা চেনা জানা কেউ নয়।
সম্প্রতি রিফাতের পরিচয় নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ব্যাপারে বলেন তার মামাতো বোনের সন্তান হলো ছাগল কিনে ভাইরাল হওয়া ইফাত। কিন্তু তার বাবা রাজস্ব মতিউর রহমান।
আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পরিচয়
এব্যাপারে তিনি আরো জানান ইফাত হচ্ছেন রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। তবে হচ্ছে ছেলের প্রতি রাগ করে তিনি সম্পর্ককে অস্বীকার করেছেন।
রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান ইতিমধ্যে ২ টি বিয়ে করেছেন। উনার প্রথম স্ত্রীর নাম হচ্ছে লায়লা কানিজ। লায়লা কানিজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের চলমান চেয়ারম্যান। তার ২ টি সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে ইফাত হচ্ছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান।
রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইনান্স বিভাগের মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তিনি পল্লী ফাউন্ডেশনে চাকরি করা শুরু করেন। তারপর ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি কাস্টম বিভাগে উপ ব্যবস্থাপক পদে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রমোশন পেয়ে কমিশনার হন।
বাংলাদেশের স্বনামধন্য পত্রিকা যুগান্তরের প্রতিবেদনে তার অবৈধ সম্পদের বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। উক্ত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয় আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্য তিনি নিজের আত্মীয় এবং স্ত্রীদের নামে সম্পদ ক্রয় করেছেন। গাজীপুরের টঙ্গীতে ৪০ হাজার বর্গ ফুটের এক্সকে ড্রিমস নামে ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সেসরিজ কোম্পানিও আছে তার।
সেই সাথে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান ময়মনসিংহের ভালুকায় ৩০০ বিঘা জমিতে একটি বিশাল জুতার তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। নরসিংদী রায়পুরে তার আছে ওয়াটার পার্ক এন্ড ইকো রিসোর্ট। এ সকল সম্পদের বেশিরভাগই তার ছেলে এবং মেয়ের নামে।
এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন তিনি কোনভাবেই এ সকল দুর্নীতির সাথে যুক্ত নন।