ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সামনেই পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। কোরবানি দেওয়া ইসলামের মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। তাইতো আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) কে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, ” আপনি আপনার মহান রবের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন”। (সূরা কাওসার: ২)

প্রতিবছর ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদে আমাদের মধ্যে একটি বিষয়ে আলোচনা হয় সেটি হচ্ছে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম নিয়ে। এটা নিয়ে একেক জনের একেক রকম মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ এটি মানতে চায় আবার কেউ কেউ মানতে চায় না। নিজের মতো করে কোরবানির মাংস বন্টন করতে চায়। তাই মাঝে মাঝেই সমাজে গোস্ত বিতরণ নিয়ে বেশ ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

তাই চলুন জেনে নেই ইসলাম ও শরীয়তের নিয়ম অনুসারে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) কোরবানির গোশত হতে এক ভাগ নিজের জন্য নিতেন, এক ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করতেন এবং অপর ভাগের গোশত গরিব এবং মিসকিনদের দিয়ে দিতেন।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারি কোরবানির মাংসের এক নিজের জন্য রেখে এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের দিতে হবে এবং ওপর একটি ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে। এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম আসলে কি।

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম

কোরবানি গোশত বন্টনের নিয়ম নিয়ে আরেকটি আয়াতে এসেছে, ” তোমরা উহা হতে (কোরবানির মাংস) নিজে আহার করো এবং গরিব দুঃস্থদের আহার করাও। (সূরা হজ্জ, আয়াত ২৮)

কোরবানির মাংস বন্টনের ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কোরবানির গোস্ত হতে নিজেরা খাও, সংরক্ষণ করো, এবং অন্যদের আহার করাও। (বুখারী, ৫৫ ৬৯)

উপরের হাদিস এবং আয়াতগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কোরবানির মাংসকে আমরা মোট ৩ টি ভাগে ভাগ করবো। যার একটি ভাগ আমরা নিজেরা নিবে, ওপর একটি গরিব প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বন্টন করবো। সেই সাথে আরেকটি ভাগ গরিব এবং দুস্থ মিসকিনদের মাঝে বিলিয়ে দিবো।

আমাদের সমাজে কোরবানির গোস্ত বন্টনের নিয়ম হিসেবে এটি সবচাইতে বেশি প্রচলিত। কোরবানির ঈদের গোশত এবং আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে ভাতৃত্ব বন্ধন আরো বেশি জোরদার হয়। এতে করে ধনী গরিব উভয়ে সমান ভাবে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। তাই আমাদের উচিত এই সকল সুন্নাহ এবং শরীয়ত অনুসারে কোরবানির মাংস বন্টন নিয়ম অনুসরণ করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম

আপডেট সময় : ০২:০১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

সামনেই পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। কোরবানি দেওয়া ইসলামের মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। তাইতো আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) কে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, ” আপনি আপনার মহান রবের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন”। (সূরা কাওসার: ২)

প্রতিবছর ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদে আমাদের মধ্যে একটি বিষয়ে আলোচনা হয় সেটি হচ্ছে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম নিয়ে। এটা নিয়ে একেক জনের একেক রকম মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ এটি মানতে চায় আবার কেউ কেউ মানতে চায় না। নিজের মতো করে কোরবানির মাংস বন্টন করতে চায়। তাই মাঝে মাঝেই সমাজে গোস্ত বিতরণ নিয়ে বেশ ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

তাই চলুন জেনে নেই ইসলাম ও শরীয়তের নিয়ম অনুসারে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) কোরবানির গোশত হতে এক ভাগ নিজের জন্য নিতেন, এক ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করতেন এবং অপর ভাগের গোশত গরিব এবং মিসকিনদের দিয়ে দিতেন।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারি কোরবানির মাংসের এক নিজের জন্য রেখে এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের দিতে হবে এবং ওপর একটি ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে। এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম আসলে কি।

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম

কোরবানি গোশত বন্টনের নিয়ম নিয়ে আরেকটি আয়াতে এসেছে, ” তোমরা উহা হতে (কোরবানির মাংস) নিজে আহার করো এবং গরিব দুঃস্থদের আহার করাও। (সূরা হজ্জ, আয়াত ২৮)

কোরবানির মাংস বন্টনের ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কোরবানির গোস্ত হতে নিজেরা খাও, সংরক্ষণ করো, এবং অন্যদের আহার করাও। (বুখারী, ৫৫ ৬৯)

উপরের হাদিস এবং আয়াতগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কোরবানির মাংসকে আমরা মোট ৩ টি ভাগে ভাগ করবো। যার একটি ভাগ আমরা নিজেরা নিবে, ওপর একটি গরিব প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বন্টন করবো। সেই সাথে আরেকটি ভাগ গরিব এবং দুস্থ মিসকিনদের মাঝে বিলিয়ে দিবো।

আমাদের সমাজে কোরবানির গোস্ত বন্টনের নিয়ম হিসেবে এটি সবচাইতে বেশি প্রচলিত। কোরবানির ঈদের গোশত এবং আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে ভাতৃত্ব বন্ধন আরো বেশি জোরদার হয়। এতে করে ধনী গরিব উভয়ে সমান ভাবে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। তাই আমাদের উচিত এই সকল সুন্নাহ এবং শরীয়ত অনুসারে কোরবানির মাংস বন্টন নিয়ম অনুসরণ করা।