শত শত মানুষ মোকামের চামড়া ফেলে গেলেন
- আপডেট সময় : ০৫:৫১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
যশোরের রাজারহাট চামড়ার মোকামে ছাগলের চামড়া ফেলে গেছেন শত শত মানুষ। সেই চামড়া বিক্রির আশায় কুড়িয়ে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন মোকামের শ্রমিকরা। ঈদের দ্বিতীয় দিন যশোরের চামড়ার হাটে এই চিত্র দেখা গিয়েছে।
যশোর জেলায় সবচাইতে বড় চামড়ার বাজার বসে রাজারহাটে। ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারীরা এই বাজারে আসেন। গতকাল কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর থেকে শুরু হয়েছে চামড়া কেনাবেচার বাজার।
কিন্তু হাটে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। বাজারে মাত্র কয়েকজন গরুর চামড়া নিয়ে বসে আছেন। সাথে কেউ কেউ চামড়ায় লবণ মাখানোর কাজ করছেন। সেই সাথে চামড়া কেনার জন্য কোন ক্রেতা নেই এবং নেই কোন বিক্রেতা। হাটের বিভিন্ন স্থানে ছাগলের চামড়া ছড়িয়ে ছিটে পড়ে আছে।
উক্ত হাটের একজন শ্রমিক বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে হুজুররা চামড়া বিক্রি করতে হাঁটে আসছেন। প্রতিটি ছাগলের চামড়ার দাম ৫ থেকে ১০ টাকার বেশি কেউ বলে নেই। এতে করে রিক্সা ভাড়া উঠছে না। অনেকটা রাগে এবং ক্ষোভের চামড়া হাটে ফেলে গেছেন তারা। বাজারে প্রায় হাজার খানেক ছাগলের চামড়া ছড়িয়ে ছিটে পড়েছিল। সেখান থেকে কিছু চামড়া নিয়ে লবণ মাখিয়ে রেখেছি হয়তোবা শনিবার হাটে বিক্রি করতে পারবো।
শত শত মানুষ মোকামের চামড়া ফেলে গেলেন
চামড়ার হাটের এক ব্যবসায়ী বলেন, গরুর চামড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে এবং ছাগলের চামড়া ৪০ টাকা দরে কিনেছি। এতে করে লাভ হবে নাকি লোকসান হবে তা হাটের দিন বোঝা যাবে।
এবারের চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে প্রতিটি গরুর চামড়া কিনতে হয়। তারপর সে চামড়ায় লবণ মাখাতে হয় এবং শ্রমিকের বেতন আছে।
এতকিছু করে চামড়া বিক্রি করে খরচ উঠাতে পারবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তারা আরো বলেন অনেক বছর ধরে চামড়ার ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত আছি। আগে ব্যবসা ভালো চললেও ইদানিং খুবই লোকশান হচ্ছে।
সরকারের যথাযথ নজরদারি এবং সিন্ডিকেটের কারণে রপ্তানিমুখী এ শিল্প এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
সেই সাথে চামড়া ব্যবসায়ীদের আরো দাবি চামড়া শিল্পের কোম্পানির মালিকরা টাকা দিয়ে চামড়া কিনতে চান না। এজন্য কাঁচা চামড়ার রপ্তানির অনুমতি প্রয়োজন।
এতে করে চামড়ার ব্যবসার সিন্ডিকেট ভেঙে যেত। কোন কোন চামড়া বিক্রেতা এখন ব্যবসা বাদ দিয়ে মুদি দোকান দিয়েছেন।