জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
আলোচিত মামলার আসামি জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গিয়েছেন। জেলে থাকা কালীন সময়ে তিনি ৬০ জনের ফাঁসির রায় কার্যকর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জল্লাদ শাহজাহানের বোন ফিরোজা বেগম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জল্লাদ শাহজাহান সম্পর্কে আরও জানান, সাভারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জল্লাদ শাহজাহান। আজ রাত ৩ টার দিকে হঠাৎ করে তার বুকে ব্যথা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫ টার দিকে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান।
জল্লাদ শাহজাহান এর বোন ফিরোজা বেগম বলেন, আমরা খবর পেয়ে খুব দ্রুত মরদেহ গ্রহণ করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পৌঁছে যায়। তার মরদেহ নিয়ে যা হবে গ্রামের বাড়ি ইছাখালীতে। সেই সাথে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন করা হবে।
জল্লাদ শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনা ঢাকা মহানগর পুলিশের বাংলা নগর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহাদ আলী সাংবাদিকদের কে জানান, শেষ রাতের দিকে জল্লাদ শাহজাহান কে অসুস্থ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়ার জন্ম নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেই তিনি এলাকার স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন।
জল্লাদ শাহজাহানের হত্যা এবং অস্ত্র মামলায় ৪২ বছরের সাজা হয়েছিল। ফাঁসি কার্যকর ও অন্যান্য কারণে তার ৪২ বছরের সাজা কমিয়ে ৩২ বছর করা হয়েছিল।
জল্লাদ শাজাহান ১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির জন্য
প্রায় ১২ বছর সাজাপ্রাপ্ত হন।
তারপর ১৯৯৫ সালে আবার ডাকাতি ও হত্যা মামলার জন্য আরো ৩০ বছরের জন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন।
জল্লাদ শাহজাহান বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধ অপরাধী, জেএমবি সহ আলোচিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬০ জন আসামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করে। এরপর থেকেই নানা রকম আলোচনায় আসেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।
তারপর ৪৪ বছর কারা ভোগের পর তিনি গত বছর জুন মাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মুক্তি পাওয়ার পর জল্লাদ শাহজাহান চায়ের দোকান দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছিলেন। জল্লাদ শাহজাহান বের হওয়ার পর কিছুদিন আবার আলোচনা এসেছিলেন একটি টিকটকার মেয়েকে বিয়ে করে। সেই বিষয়টি আইন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।