সবচাইতে দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
- আপডেট সময় : ০৮:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
ঘুর্ণিঝড় অর্থ অনেকই হয়। গত বছরও সংঘটিত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। কিন্তু সে সকল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কিছুক্ষণ পরেই মিলিয়ে যায়। কিন্তু এ বছরের সংঘটিত হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমাল সবচাইতে দীর্ঘ সময় ধরেছিলো। কারণ উপকূলে আঘাত হানার পরেও আজ ২ দিন হয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটেনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব থাকতে পারে। সেই হিসেবে সারা দেশে দমকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত রবিবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের মূল কেন্দ্র বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে অতিক্রম করে। সেই কারণে দক্ষিণের কিছু এলাকা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, এবং পিরোজপুরে বেশ ঝড়-বৃষ্টি এবং বাতাসের সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সেখানকার বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। সেই সাথে উপকূলবর্তী অনেক এলাকায় তীব্র জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হয় এবং সারাদেশে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সবচাইতে দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব সর্বোচ্চ ৪৫ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারেন। গত বছর সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রভাব ছিল মাত্র ৩৪ ঘন্টা। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত সংঘটিত হওয়া ঘূর্ণিঝড় গুলোর মধ্যে প্রভাবে সবচাইতে বেশিক্ষণ ধরে সংঘটিত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সারা বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে। সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন ঘটছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে গেলে পুনরায় সেগুলো সচল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সারা বাংলাদেশে প্রায় ১০ টি জেলার ৮৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । যার মধ্য ৭ লাখ হচ্ছে শিশু এবং বাকি ৪৩ লাখ হচ্ছে নারী এবং বৃদ্ধ। তবে অন্যান্য বারের মত বাংলাদেশের সুন্দরবন এবার ঘূর্ণিঝড়ের বিপক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমে এসেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমলের প্রভাবে এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্য ভোলা জেলায় বাড়ির উপরে গাছ পড়ে ৩ জন নিহত হয়েছে। ঢাকায় নারীর সহ ৪ জন নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে। নিহত ১২ জনের মধ্যেও একজন শিশুও আছেন।