বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে যে কোন সময়
- আপডেট সময় : ০৩:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
চলতি মাসে যে কোন সময় বাংলাদেশের উপর আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। উক্ত ঘূর্ণিঝড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তার প্রবাহ। ইতিমধ্য তীব্র গরমে গত ২ সপ্তাহে ২৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ঠিক এরকম একটি সময়ে বঙ্গোপসাগরে অপেক্ষমান রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমল।
দিল্লির আবহাওয়া অধিদপ্তর মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ইতিমধ্য বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন মে মাসের ২৫ তারিখের পর যে কোন সময় এটি বাংলাদেশ ও ভারতে আঘাত হানতে পারে।
উক্ত ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে পাশের দেশ ওমান। রেমাল একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে “বালি”। ফিলিস্তিনের গাজায় এই নামে একটি শহরও রয়েছে।
দিল্লির আবহাওয়া দপ্তর মৌসম ভবন মিডিয়াকে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী সপ্তাহ থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হতে থাকবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়ার উপর আস্তে আস্তে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে।
তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের উপরে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে যে কোন সময়
ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিষয়ে দিল্লির আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ ২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার হতে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এলাকাগুলোতে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তারপর ঘূর্ণিঝড় রেমাল এগিয়ে যেতে থাকবে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এটি কোন কোন এলাকাতে আছড়র পড়তে পারে?
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে যদি ঘূর্ণিঝড়ের রেমাল উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে থাকে তবে তাহলে সেটি আঘাত হানবে মিয়ানমারে। সেই সাথে মিয়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশের অনেক এলাকাতেও সেটির প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে ভারতের পশ্চিমবঙ্গতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খুবই সামান্য হবে।
তবে কানাডার আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের সরাসরি আগামী ২৬ শে মে রবিবার আঘাত হানতে পারে।
সেই সাথে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাংলাদেশে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন হালকা বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। তবে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
সেই সাথে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার জরলেদের আজ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধ করা হয়েছে। আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত এই নিষেধ কার্যকর থাকবে। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের রেমাল খুব শীঘ্রই আঘাত হানতে পারে তাই এই কয়েকদিন উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনকে সতর্কতার সহিত মাছ ধরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।