ব্যাটারি চালিত রিকশা পুনরায় চালুর দাবিতে বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
আজ সোমবার ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদের নেমেছেন রিকশা চালকেরা। আজকে মিরপুর ও রামপুরা এলাকায় ব্যাটারী চালিত রিকশাচালকেরা বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ ইতিমধ্য বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১ টার দিক থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন রিকশা চালক মিরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের কারণে উক্ত রোডে যান চলাচলে বিভিন্ন দেখা যায়। বিক্ষোভের খবর পেয়ে মিরপুর থানার পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশকে দেখে বিক্ষোভকৃত রিকশা চালকেরা ইট এবং পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। সেই সময় বেসরকারি একটি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাম্যান আহত হন। তারপর পুলিশ ধাওয়া করে রিকশা চালকদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
গত ১৫ মে বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠকে রাজধানীর অভ্যন্তরে ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাটারী চালিত রিকশা গুলো বন্ধের অভিযানের নামেন। এরই প্রতিবাদে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকরা আন্দোলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। প্রথম থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় মিরপুরে, কাজীপাড়া ও পল্লবীর কিছু এরিয়াতে।
ব্যাটারি চালিত রিকশা পুনরায় চালুর দাবিতে বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা সাংবাদিকদের কে বলেন, আমাদেরকে অটো রিকশা চালাতে দিচ্ছে না পুলিশ। বিগত কয়েকদিনে অনেক চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের দাবি, তারা গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের উপর পুলিশ এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কয়েকটি গাড়ি ভঙচুর করে।
তারা আরও দাবি করেন, গ্রেফতারকৃত চালকদের ছেড়ে দিতে হবে এবং তাদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এমন সময় এক অটো রিকশাচালক বলেন, আমি স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অটো রিকশা কিনেছি। এখন আমি কিস্তির টাকা দিব কোথা থেকে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দিনরাত অটো রিকশা চালকদের বিক্ষোভের ফলে রাস্তায় যানজট এবং চলাচলে বিঘ্ন করছে। তাই তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা সরে না গিয়ে আমাদের উপর ঈট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এতে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেই সাথে তারা বিভিন্ন যানবাহন এবং দোকানপাটে ভাঙচুর শুরু করে। তাই তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।