বউকে বোন পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি
- আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে। বউকে বোন পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি সংবাদ শিরোনামে আলোচিত ঐ প্রতিবেদনটি ২০২০ সালের। ৪ বছর পরে আবার খবরটি ভাইরাল হয়েছেন।
উক্ত ভাইরাল খবরটি হাসান আল মামুন নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার করেন। তিনি মূলত সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন নেতা। তার ওই উক্ত পোস্টে নানা পেশার এবং শ্রেণীর মানুষেরা নানা রকম মন্তব্য করছেন।
বউকে বোন পরিচয় মুক্তিযোদ্ধা কোটা চাকরির পোস্টে হুসাইন মাহমুদ নামে একজন লিখেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের একটি আবেগের জায়গা। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ আর অসাধু আমাদের সেই জায়গাটিতে চরম হানা দিচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ম বহাল রাখা চলবে না বলে মাহবুব খান নামের একজন সেই খবরটি আবার শেয়ার করেছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপে খবরটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
বউকে বোন পরিচয় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির সেই খবরে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের জামালপুর জেলার স্কুল শিক্ষক আশরাফ আলম নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে জালিয়াতি কাগজের মাধ্যমে আপন বোন বানিয়েছে। কারণ ওই শিক্ষক আশরাফ আলমের পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। সেই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে চাকরি দিতে এই জালিয়াতি করেন তিনি।
বউকে বোন পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি
অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষক আশরাফুল আলমের বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ওই উপজেলার মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা করে আসছেন। তার বোন পরিচয় দেওয়া স্ত্রী খেয়ার চড়ে ও খালাতো বোন শাপলা আক্তার টুপকান চরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটায় চাকরি পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন।
উক্ত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, অভিযুক্ত নাসরিন আক্তার এবং শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নয়াপুরা গ্রামের এক বাসিন্দা। তার নাম হচ্ছে স্মরণ মিয়া। স্মরন মিয়া বলেন স্কুল শিক্ষক আশরাফুল আলম চাকরি দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর ঘটনাটি খবরে আসার পর তিনি এলাকা ছেড়েছেন।
এসকল বিষয়ে আশরাফুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তার ফোন সবসময় বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া আশরাফুল আলমের বাড়িতে গিয়েও তার পরিবারের কোনো সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে আশরাফুল আলমের বাড়িতে তার বোন শাপলা ও মা মনোয়ারা বেগমকে পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধা কোটাঢ চাকরি হচ্ছে কিনা এব্যাপারে শাপলা আক্তার কিছু জানেন না। আশরাফুল আলম তার চাকরি ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং এর বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। আর নাসরিন আক্তারও একই কথা বলেন।
আপনারা তো জানেন গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। তারপর থেকে সারা দেশ জুড়ে কোটা বাতিলের দাবিতে বেশ কয়েক দফায় দফায় আন্দোলন হচ্ছে।