নতুন নীতিমালায় আরো কঠিন হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
বছরে একাধিক বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করতে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বেশ পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসি। নতুন এই নিয়ম অনুসারে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ক্রমানুসারে লিখতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। এছাড়াও পরীক্ষকদের বিসিএস এর লিখিত খাতা মূল্যায়ন করতে হবে পিএসসি তে বসেই।
সম্প্রতি পিএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিসিএস পরীক্ষা দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সেগুলো খুব একটা কার্যকর হয়নি। আগের তুলনায় বর্তমানে বিসিএস এর কার্যক্রম শেষ হতে বেশ কম সময় লাগলেও কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। এ বিষয়গুলি অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় সামনে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অতিরিক্ত সময় লাগা এবং পরীক্ষার্থীদের উত্তর ক্রমানুসারে না লিখা।
সূত্রটির মাধ্যমে জানা যায়, বিসিএস পরীক্ষার্থীরা যদি খাতায় উত্তর গুলো ক্রমানয় লেখে তাহলে সেটি মূল্যায়ন করতে সুবিধা হয়। সেই সাথে পরীক্ষক বুঝতে পারেন একজন প্রার্থী কিভাবে উত্তর লিখেছেন। সেই লক্ষ্যে আগামী ৪৬ তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় ক্রমানুসারে খাতায় উত্তর লেখার বাধ্যবাধকতা চালু হচ্ছে।
বিসিএস পরীক্ষার নতুন এই নিয়ম অনুসারে কোন পরীক্ষার্থী চাইলে ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখার পর ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মাঝখানের ২/৩/৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখার জায়গাটুকু ফাঁকা রাখতে হবে।
শুধু তাই নয় খাতায় উত্তর লেখার ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিসিএস পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য ঠিক কতটুকু জায়গা প্রয়োজন হবে সেটি নির্ধারিত করে দেয়া হবে। একজন পরীক্ষার্থীকে ওই নির্ধারিত জায়গার মধ্য থেকেই উত্তর লিখতে হবে। আগামী ৪৭ তম বিসিএস থেকে অবশ্য এই নিয়মটি কার্যকর করা হবে।
নতুন নীতিমালায় আরো কঠিন হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা
এব্যাপারে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন বা পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের কে বলেন, আগামী ৪৬ তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা থেকে উত্তরগুলো ক্রমান্বয়ে লিখতে হবে। যে ব্যাপারে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। তবে কেউ চাইলে পরের প্রশ্নের উত্তরগুলো আগে লিখতে পারবেন। তবে আগের প্রশ্নগুলো লিখার জন্য খাতায় জায়গা আগে থেকে রাখতে হবে।
তিনি আরো জানান, ৪৬ তম বিসিএস থেকে খাতা মূল্যায়ন পিএসসিতে বসেই দেখতে হবে। এক্ষেত্রে লিখিত খাতা দেখার জন্য ১৩ থেকে ১৪ জনের একটি টিম থাকবে। সেই সাথে ২ থেকে ৩ জন এমন পরীক্ষক থাকবে যারা অন্যান্য পরীক্ষকদের কোন ভুল ত্রুটি হলে সেটা সমাধান করে দেবেন। পরীক্ষকদের কেউ কেউ শুধু ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন করবেন আবার কেউ কেউ শুধু ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন করবেন। এতে করে তৃতীয় কিংবা দ্বিতীয় পরীক্ষকের আর প্রয়োজন হবে না।
বিশেষ পরীক্ষায় নতুন এ মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হলে খাতা দেখার মান বৃদ্ধি পাবে এবং সময় বাঁচবে। সেই সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি বিসিএস কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা সফল হবে।