ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি নিষিদ্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি নিষিদ্ধ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, বিভিন্ন অস্ত্রপাচারের সময় রোগীকে অচেতন করার কাজে ব্যবহৃত হেলথেন গ্রুপের ওষুধ হেলোসিন যেখানে সেখানে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৫ জুন বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ ঔষধ ভবনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একটি সম্মেলন এবং সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল মূলত ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান বিষয় নিয়ে। ওই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার মন্ত্রী হেলোসিন ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্ত্রী বলেন, হেলোসিন ওষুধটির ব্যবহার সরকার সম্পূর্ণ নিষেধ ঘোষণা করেছে। এরপর থেকে ওই ওষুধটি ব্যবহারের অধিকার কারো নেই। হেলোসিন ওষুধ বিক্রির দায়ে ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে অজ্ঞান করার এই ওষুধটির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাথে কোন ক্লিনিকে যদি হেলোসিন গ্রুপেে ওষুধের উপস্থিতিতে পাওয়া তাহলে তার লাইসেন্স কখনোই নবায়ন করবে না বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি নিষিদ্ধ

ওষুধ উৎপাদন বিভিন্ন কিংবা বিক্রি বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। হেলোসিন ওষুধ বিক্রি বন্ধের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন এই নিষিদ্ধ অজ্ঞান করার ও সত্যি যদি কোন ক্লিনিক ব্যবহার করে তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ইতি মধ্যে পরিপত্র জারি করে এ হেলোসিন বিক্রি ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওষুধ আসল নাকি নকল সেটা তো পরে কথা বাতিল মানে বাতিল।

ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে ঐ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন সাংবাদিকরা।

আমরা জানি ঈদকে ঘিরে ও বিভিন্ন সময় চেতনা নাশক ওষুধ ব্যবহার করে অপরাধীচকরা বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। বাসে ট্রেনে কিংবা বিভিন্ন লোকাল স্থানে মুহূর্তেই এ সকল ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে ঠিক কি কারণে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন হেলোসিন ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে ব্যাপারটি নিশ্চিত নয়।

হেলোসিন ওষুধ মূলত বিভিন্ন অস্ত্র পাচার এবং অপারেশনের সময় অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ০২:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, বিভিন্ন অস্ত্রপাচারের সময় রোগীকে অচেতন করার কাজে ব্যবহৃত হেলথেন গ্রুপের ওষুধ হেলোসিন যেখানে সেখানে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৫ জুন বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ ঔষধ ভবনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একটি সম্মেলন এবং সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল মূলত ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান বিষয় নিয়ে। ওই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার মন্ত্রী হেলোসিন ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্ত্রী বলেন, হেলোসিন ওষুধটির ব্যবহার সরকার সম্পূর্ণ নিষেধ ঘোষণা করেছে। এরপর থেকে ওই ওষুধটি ব্যবহারের অধিকার কারো নেই। হেলোসিন ওষুধ বিক্রির দায়ে ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে অজ্ঞান করার এই ওষুধটির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাথে কোন ক্লিনিকে যদি হেলোসিন গ্রুপেে ওষুধের উপস্থিতিতে পাওয়া তাহলে তার লাইসেন্স কখনোই নবায়ন করবে না বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অচেতন করার ওষুধ হেলোসিন বিক্রি নিষিদ্ধ

ওষুধ উৎপাদন বিভিন্ন কিংবা বিক্রি বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। হেলোসিন ওষুধ বিক্রি বন্ধের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন এই নিষিদ্ধ অজ্ঞান করার ও সত্যি যদি কোন ক্লিনিক ব্যবহার করে তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ইতি মধ্যে পরিপত্র জারি করে এ হেলোসিন বিক্রি ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওষুধ আসল নাকি নকল সেটা তো পরে কথা বাতিল মানে বাতিল।

ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে ঐ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন সাংবাদিকরা।

আমরা জানি ঈদকে ঘিরে ও বিভিন্ন সময় চেতনা নাশক ওষুধ ব্যবহার করে অপরাধীচকরা বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। বাসে ট্রেনে কিংবা বিভিন্ন লোকাল স্থানে মুহূর্তেই এ সকল ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে ঠিক কি কারণে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন হেলোসিন ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে ব্যাপারটি নিশ্চিত নয়।

হেলোসিন ওষুধ মূলত বিভিন্ন অস্ত্র পাচার এবং অপারেশনের সময় অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহার করা হয়।