ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুয়া খেলার প্রচারে পরীমনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে

জুয়া খেলার প্রচারে পরীমনি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি অনলাইনে জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নাম লেখালেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমানি। ইতিমধ্য পরিমনি প্রতিষ্ঠানটির একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবেও ফটোশুট করেছেন।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে অনলাইনে বা অফলাইনে জুয়া কিংবা বাজি ধরা নিষিদ্ধ। যেহেতু জুয়া খেলা নিষিদ্ধ সেহেতু এসকল প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এবং প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এত সকল নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ হতে একটি অনলাইন জুয়া প্রতিষ্ঠানের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছেন নায়িকা পরীমনি।

উক্ত বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে পরীমনি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অর্থ লাভের জন্য উৎসাহিত করছেন। ফেসবুকে পরিমনির ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৬০ লাখের উপরে।

উক্ত বিষয়ে নায়িকা পরিমনির সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

নায়িকা পরিমনির উক্ত বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্র প্রথম আলো তরফ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেনকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।

জুয়া খেলার প্রচারে পরীমনি

উক্ত বিজ্ঞাপনটি দেখে তিনি জানান এরকম অনেক বিজ্ঞাপনে অনলাইনে প্রচারিত হয়। সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে এ ধরনের জুয়ার প্রচারণা করা বাংলাদেশের আইনের পরিপন্থী। হরহামেশাই এরকম বিজ্ঞাপন অনলাইনে দেখা গেলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না তেমন কোন আইনি ব্যবস্থা। যার কারণে এধরনের প্রচারণা দিন দিন বেড়েই চলছে।

শুধু যে পরিমনিই এরকম প্রচারণা করছে তা নয়। নায়িকা মাহিয়া মাহি, নায়িকা অপু বিশ্বাসসহ আরো অনেক তারকারাই এ ধরনের প্রচারণা করেছেন। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য এ ধরনের জুয়ার বিজ্ঞাপনে জনপ্রিয় মডেলদের নেওয়া হয়। এতে করে সাধারণ মানুষরা প্রলুব্ধ হয়ে জুয়ার ফাঁদে পা দেয়।

বিষয়টা নিয়ে উনি আরো বলেন, এ সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। সেখান থেকে কিছু অংশ তাদের প্রচারণা এবং বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যয় করলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের তারকারাও নৈতিক দিক থেকে চিন্তা করছে না।

অনলাইনে এ সকল জুয়ার বিস্তার নিয়ে বাংলাদেশের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা আরও বলেন এ সকল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়।

অনলাইন এবং ইন্টারনেট এখন মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। সেই সাথে অনলাইন ভিত্তিক প্রতারণা এবং এ সকল অবৈধ কাজকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। নায়িকা পরিমনির এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়াটা দর্শকদের জন্য হতাশজনক।

সারাদেশে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হতে পারে। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুয়া খেলার প্রচারে পরীমনি

আপডেট সময় : ১০:০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

সম্প্রতি অনলাইনে জুয়া খেলার প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নাম লেখালেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমানি। ইতিমধ্য পরিমনি প্রতিষ্ঠানটির একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবেও ফটোশুট করেছেন।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে অনলাইনে বা অফলাইনে জুয়া কিংবা বাজি ধরা নিষিদ্ধ। যেহেতু জুয়া খেলা নিষিদ্ধ সেহেতু এসকল প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এবং প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এত সকল নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ হতে একটি অনলাইন জুয়া প্রতিষ্ঠানের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছেন নায়িকা পরীমনি।

উক্ত বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে পরীমনি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অর্থ লাভের জন্য উৎসাহিত করছেন। ফেসবুকে পরিমনির ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৬০ লাখের উপরে।

উক্ত বিষয়ে নায়িকা পরিমনির সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

নায়িকা পরিমনির উক্ত বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্র প্রথম আলো তরফ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেনকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।

জুয়া খেলার প্রচারে পরীমনি

উক্ত বিজ্ঞাপনটি দেখে তিনি জানান এরকম অনেক বিজ্ঞাপনে অনলাইনে প্রচারিত হয়। সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে এ ধরনের জুয়ার প্রচারণা করা বাংলাদেশের আইনের পরিপন্থী। হরহামেশাই এরকম বিজ্ঞাপন অনলাইনে দেখা গেলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না তেমন কোন আইনি ব্যবস্থা। যার কারণে এধরনের প্রচারণা দিন দিন বেড়েই চলছে।

শুধু যে পরিমনিই এরকম প্রচারণা করছে তা নয়। নায়িকা মাহিয়া মাহি, নায়িকা অপু বিশ্বাসসহ আরো অনেক তারকারাই এ ধরনের প্রচারণা করেছেন। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য এ ধরনের জুয়ার বিজ্ঞাপনে জনপ্রিয় মডেলদের নেওয়া হয়। এতে করে সাধারণ মানুষরা প্রলুব্ধ হয়ে জুয়ার ফাঁদে পা দেয়।

বিষয়টা নিয়ে উনি আরো বলেন, এ সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। সেখান থেকে কিছু অংশ তাদের প্রচারণা এবং বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যয় করলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের তারকারাও নৈতিক দিক থেকে চিন্তা করছে না।

অনলাইনে এ সকল জুয়ার বিস্তার নিয়ে বাংলাদেশের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা আরও বলেন এ সকল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়।

অনলাইন এবং ইন্টারনেট এখন মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। সেই সাথে অনলাইন ভিত্তিক প্রতারণা এবং এ সকল অবৈধ কাজকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। নায়িকা পরিমনির এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়াটা দর্শকদের জন্য হতাশজনক।

সারাদেশে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হতে পারে। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।