ইসলামী ব্যাংকের লকার
- আপডেট সময় : ০২:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়েছে। এমন একটি অভিযোগ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বেশ ভাইরাল হয়েছে। অবশ্য এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা বলেন ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে কোন সম্পদ চুরি হওয়ার সুযোগ নেই। তবে যদি হারিয়ে থাকে তাহলে এর বিনিময়ে গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাবে মাত্র ২ লক্ষ টাকা।
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার গায়েবের প্রেক্ষিতে গ্রাহকের অভিযোগ, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাই এই অপরাধের সাথে জড়িত। তিনি তার স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
এদিকে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েবের খবরটি ভাইরাল হওয়ার পর ইসলামী ব্যাংক চকবাজার চকবাজার শাখায় ভিড় জমান গ্রাহকরা। তারা তাদের প্রত্যেকের লকারের রাখা গচ্ছিত সম্পদ ঠিক আছে কিনা সেগুলো খতিয়ে দেখেছেন।
ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার এক গ্রাহক সাংবাদিকদের কে বলেন, আমি ইসলামিক ব্যাংকের লকার ব্যবহার করি। আমার লকারে স্বর্ণ এবং গহনা সহ বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র আছে। আমি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখছিলাম ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৫০ ভরি সোনা চুরি হয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি আমার সম্পদ গুলো দেখতে এসেছি।
বর্তমান যুগে মানুষের কাছে সবচাইতে নিরাপত্তার স্থান হচ্ছে ব্যাংক। কিন্তু সেই ব্যাংকের নামেই যদি এমন অভিযোগ উঠে তাহলে বিষয়টি গ্রাহকদের জন্য খুবই দুঃখজনক।
ইসলামী ব্যাংকের লকার
ইসলামী ব্যাংকের লকারের ঘটনাটির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জানান, গত ২৯ শে মে রোকেয়া আক্তার নামে এক গ্রাহক তার লকারটি চেক করার পর ১৫০ ভরি সোনা গায়েবের অভিযোগটি জানান। প্রথমে তিনি মৌখিকভাবে ১৫০ ভরি স্বর্ণ চুরির অভিযোগ করেন। আমরা তাদেরকে বলেছি ইসলামী ব্যাংকের লকারে গ্রাহকরা কি রাখে সেটি আমাদের জানা থাকে না। তবে আমার মনে হচ্ছে সোনা গায়েব হওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। কারণ কার লকারে কি থাকে সেটির তথ্য ব্যাংকের কারো কাছেই নেই।
আমার শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাংকের লকারে কোন বিস্ফোরক পদার্থ কিংবা অস্ত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে একটি ডিক্লারেশন দিয়ে থাকি। এছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার মেনেই পরিচালনা করি।
এব্যাপারে ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংকের লকারে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। গ্রাহক যে লকারটি ব্যবহার করেন তার একটি চাবি গ্রাহকের কাছেই থাকে। আরেকটি চাবি লকার ম্যানেজারের কাছে সংরক্ষিত থাকে। ম্যানেজারের কাছে সংরক্ষিত মাস্টার কি দিয়ে সব লকার খোলা যায়।
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৫০ ভরি সোনা চুরির ঘটনায় ইতি মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রতিবেদন কমপ্লিট হওয়ান পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কি কি করতে পারবেন জানতে এখানে প্রবেশ করুন।