সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের কিছু অংশ উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৯:০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃতদেহ খোঁজার কাজ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন উদ্ধার কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না তার দেহের কোন অংশ। কিন্তু গত মঙ্গলবার ২৮ মে কলকাতা পুলিশ সঞ্জীবা গার্ডেন্সেে ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মৃতদেহের কয়েকটি অংশ উদ্ধার করেন। তবে মৃতদেহের অংশগুলো এমপি আনারের কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করে নাই।
ইন্ডিয়াতে অবস্থানরত ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান মোঃ হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের কে বলেন, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংকে অভিযান চালানো হয়। কলকাতার সিআইডি পুলিশকে আমাদের পক্ষ থেকে সেপটিক ট্যাংক ভেঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে মৃতদেহের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। তবে ফরেনসিক ছাড়া এগুলো এমপি আনারের মৃতদেহ কিনা সেটি নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
এবিষয়ে আরেক গোয়েন্দা প্রধান ডিসি আ. আহাদ সাংবাদিকদেরকে বলেন, গ্রেফতারকৃত আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে তিনি আমাদেরকে বাথরুমে ফ্লাশের ব্যাপারটি বলে। তারপর আমরা কলকাতার পুলিশকে বাথরুমের পাইপ ভেঙে ট্যাংকি দেখার কথা বলি। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর পাওয়া গিয়েছে পাইপ থেকে কিছু মৃতদেহের অংশ পাওয়া গিয়েছে।
সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের কিছু অংশ উদ্ধার
সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেই ঘটনার সময় থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কাজ শেষ করে আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। ওখানে দেখলাম অনেকগুলো মানুষ একসাথে এবং খানিকটা মাংস পাওয়া গিয়েছে। আমি সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি।
উদ্ধার কার্যক্রমে কারা আছেন এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা সেখানে কাজ করছেন। মৃতদেহের যে পরিমাণ খন্ডাংশ পাওয়া গিয়েছে তার ওজন ৩-৪ কেজি হবে।
সঞ্জীবা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কে মারা হয়, এমপি আনার কে মারার পর তার মানব দেহের টুকরোগুলো বাথরুমে ফ্লাশ করা দেওয়া হতে পারে। এমনটি জানিয়েছে কলকাতার গোয়েন্দা সূত্র।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার কে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে হ ত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিলাস্তি রহমান সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এমপি আনারের মৃত দেহ বা এর কোন অংশ পাওয়া যাচ্ছিল না।
সঞ্জীবায় গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের অংশগুলোর সাথে ডিএনএ টেস্ট করলেই বলা যাবে এটি এমপি আনারের মৃতদেহের অংশ কিনা।