কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে বা কুয়েতের ভিসার দাম কত
- আপডেট সময় : ১১:৩২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
জীবিকার তাগিদে মানুষ কত কিছুই না করে। নিজের দেশে ভালো ইনকাম না হলে পাড়ি জমায় বিদেশে। বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে টাকা আয় করছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী রয়েছে। ভালো ইনকামের আশায় বাংলাদেশের অনেক যুবক কুয়েতে যেতে চায়। কিন্তু তারা জানেন না কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে কিংবা কুয়েতের ভিসার দাম কত।
আপনারা যারা সাম্প্রতিক সময়ে কুয়েতে যেতে ইচ্ছুক তারা টাকা পয়সা লেনদেনের আগে অবশ্যই কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েতের ভিসার দাম কত সেই সম্পর্কে জেনে নিবেন। তাহলে আর দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হতে হবে না।
কুয়েতের ভিসার দাম কত?
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত ৩ টি উপায়ে কুয়েত যাওয়া যায়। যার মধ্য একটি হচ্ছে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট, একটি হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা বা লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে এবং আরেকটি হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।
কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে সবচাইতে বেশি লোক যায় ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসাতে। সাধারণত কুয়েতের কাজের ভিসার দাম ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে?
আমি ইতিমধ্যে বলেছি যে কাজের জন্য কুয়েতের ভিসার দাম ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। তবে আপনি যদি দালালদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন তাহলে টাকা অনেক বেশি এবং ক্ষেত্র বিশেষ দ্বিগুণ টাকার প্রয়োজন হতে পারে।
তাই আপনারা সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেক লোক কুয়েতে পাঠানো হয়। এভাবে কুয়েত যেতে খরচও অনেক কম হয়।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে বা কুয়েতের ভিসার দাম কত
ভিসা ছাড়াও কুয়েতে যেতে আনুষাঙ্গিক আরো কিছু খরচ রয়েছে। পাসপোর্ট, প্লেনের টিকিট খরচ, কেনাকাটা ও অন্যান্য কিছু খরচ মিলিয়ে বাড়তি কিছু টাকার প্রয়োজন হবে।
কুয়েতে যেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে?
কুয়েতের ভিসার আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। সেগুলো হলো:
• জাতীয় পরিচয় পত্র
• পাসপোর্ট
• মেডিকেল রিপোর্ট
• পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
• করোনার টিকা সনদ
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট
• কাজের উদ্দেশ্যে গেলে যোগদান পত্র
• লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে গেলে স্কলারশিপ বা এডমিশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কুয়েতে অনেক ধরনের কাজে পাবেন। তবে কুয়েতে যে ধরনের কাজ সবচাইতে বেশি পাওয়া যায় সেগুলো হলো:
• ইলেকট্রনিক্সের কাজ
• ড্রাইভিং এর কাজ
• নির্মাণ শ্রমিক
• কনস্ট্রাকশনের কাজ
• ডেলিভারি ম্যানের কাজ
• সেলসম্যানের কাজ
• কৃষি ও বাগানের কাজ
• বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ
কুয়েতে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
আপনারা তো জানলেন কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বা কুয়েতের ভিসার দাম কত। কিন্তু আপনারা কি জানেন কুয়েতে গিয়ে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
আপনার কাজের উপরে ভিত্তি করে ইনকামও বাড়বে অথবা কমবে। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা যায় তাদের বেশিরভাগই মাসে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পায়। তবে আপনি যতদিন থাকবেন আপনার আয়ও তত বৃদ্ধি পাবে। যদি সুযোগ থাকে তাহলে মূল চাকরির পাশাপাশি আপনি বাড়তি কাজ করেও বেশ কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।
আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বা কুয়েতের ভিসার দাম কত। তাই কুয়েতে যাওয়ার জন্য কারো সাথে চুক্তি করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। তাহলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।