শিক্ষিকার টিকটকে উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস
- আপডেট সময় : ১২:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাশক নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজির অশ্লীল টিকটক ভাইরাল হয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। গতকাল ডুয়েটের সেই শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছে।
ডুয়েট শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, শিক্ষিকার টিকটক ভিডিও নিয়ে তাদের আপত্তি নেই, যদিও তারা এমন শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানে আশা করেন না যার কোন মূল্যবোধ নেই। তারা মনে করেন শিক্ষক/শিক্ষিকা মানেই শুধু ক্লাস নেবেন এবং লেকচার দিবেন ব্যাপারটি এমন না। তাকে মূল্যবোধ এবং নৈতিক দিক থেকেও উন্নত হতে হবে। যাতে তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি উন্নত জীবন গঠনে অনেক কিছু শিখতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ডুয়েট শিক্ষিকা ইতু মিয়াজির বেশ কয়েকটি টিকটক ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। যেগুলোতে তার অঙ্গভঙ্গি এবং ভাষা বেশ অশ্লীল।
ডুয়েট শিক্ষিকার একটি টিকটকে এরকম ভাষা ব্যবহার করেছেন ” জন্মের পর প্রথম আমি যখন চোখ খুলি তখন আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে টিকটক হবো।” এগুলো ছাড়াও তিনি আরো বেশ আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে টিকটক গুলো তৈরি করেছেন। টিকটকে তার পোশাক কিংবা অঙ্গভঙ্গি কোনটাই শালীন নয়।
শিক্ষিকার টিকটকে উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস
ডুয়েট শিক্ষিকা ইতু মিয়াজি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট থেকে আর্কিটেকচার সাবজেক্টে লেখাপড়া করেছেন। তার ভিডিও গুলো ভাইরাল হওয়ার পর তিনি নতুন একটি ভিডিওতে বলেছেন, আমি জানি তোমরা অনেকে চাও না আমি টিকটক করি, সেজন্য আমি ইউটিউবে নতুন একটি ভিডিও আপলোড করেছি। তোমরা যদি আমার ইউটিউবের ভিডিওতে সারা দাও দাও তাহলে আমি আর টিকটক করবো না।
ডুয়েটের শিক্ষিকা ইতু মিয়াজির ব্যাপারে ডুয়েটের অধ্যাপক ডঃ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়ার সময় বোর্ডের সদস্যরা আসলে টিকটক দেখে না। যেহেতু পরবর্তীতে বিষয়টি সবার সামনে এসেছে তাই আমরা খতিয়ে দেখছি। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ডুয়েটের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান সাংবাদিকদের কে বলেন, ইতু মিয়াজিকে নিয়োগ দেওয়ার সময় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে ডুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি ইতু মিয়াজি টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেন। শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আমরা তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রেখে ১ সপ্তাহের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছি।
ডুয়েটের শিক্ষিকা ইতু মিয়াজির ভিডিও গুলো তিনি দেখেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইউটিউবে তার কনটেন্ট গুলো দেখেছি কিন্তু সেখানে আমি আপত্তিকর কিছু পায়নি। তবে আমি কখনো তার টিকটক দেখিনি। টিকটকে কেউ যদি ভিডিও তৈরি করে তাহলে তাকে আমরা বাধা দিতে পারি না। তবে তিনি যেহেতু ডুয়েট শিক্ষিকা এবং আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করছেন তাই আমরা তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেব।
টিকটক তৈরির ব্যাপারে ডুয়েট শিক্ষিকা ইতু মিয়াজির মোবাইলে একাধিক বার কল করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।