ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিমের হালি ৫৫ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে

ডিমের হালি ৫৫ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুতেই কমছে না। দিন যত যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং সবজির দাম ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও রমজান এবং পরবর্তী সময়ে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু সেই সুখ কপালে আর বেশি দিন থাকতে পারলো না।

ডিমের হালি কিছুদিন আগেও ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ছিল। সেই ডিমের দাম এখন হালিপ্রতি ৫৫ টাকা। অর্থাৎ কয়েকদিনেই হালি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

মাছ মাংসের দাম তো শুধু বেড়েই চলেছে কিন্তু কমেনি কখনো। কিছুদিন পূর্বেও তেলাপিয়া মাছের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। বর্তমানে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২২০ টাকার ওপরে। কিনে খাওয়ার মত বাজারে এখন আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক নূপুর বলেন, আমার বাচ্চাকাচ্চাকে এখন আর মাছ মাংস কিনে খাওয়াতে পারি না। মাঝে মাঝে ডিমের ঝোল রান্না করে খাওয়াইতাম। এখন সেই উপায়ও আর দেখছি না।

ঢাকার মালিবাগ এবং রামপুরা বাজারের বিক্রেতারা সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, ডিম উৎপাদনে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া প্রচন্ড তাপ প্রবাহের কারণে খামারীদের অনেক মুরগি মারা গিয়েছে। যার কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। যাও সরবরাহ আছে কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি।

ডিমের হালি ৫৫ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা

বাংলাদেশের পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ঢাকায় আরতদাররা প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি করে। সেই সাথে সারাদেশে প্রায় ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তারা মোবাইলের মাধ্যমে। প্রতিদিনের ডিমের দর তারা মোবাইলের মাধ্যমেই সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেয়। এটিকে ডিমের বাজারের সবচাইতে বড় সিন্ডিকেট বলতে পারেন।

এদিকে সবজির বাজারেও আগুন লেগে আছে বেশ কয়দিন ধরেই। রোজার ঈদের পর সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেই বেগুনের দাম কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা ছিল সেটি এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

এদিকে তুলনামূলকভাবে পেঁপের বাজার দর সব সময় কম থাকে কিন্তু সেটির কেজিও এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকা।

কাঁচা মরিচের কেজি অল্প কিছুদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল কিন্তু এখন জায়গা ভেদে ১০০-২০০ টাকা। তবে জাতীয় মুরগি ব্রয়লারের দাম খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু সোনালী বা অন্যান্য জাতের মুরগির কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষ চেষ্টা করছে আয় বাড়ানোর কিংবা ব্যয় কমানোর। কিন্তু লাগামহীন এই দাম বৃদ্ধির যুগে সেটির সামঞ্জস্য করা হয়ে উঠছে না। তাই এখন অনেকটাই দিশেহারা হয়ে উঠছে দেশের জনগণ। আশা করি সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিমের হালি ৫৫ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা

আপডেট সময় : ০২:২৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুতেই কমছে না। দিন যত যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং সবজির দাম ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও রমজান এবং পরবর্তী সময়ে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু সেই সুখ কপালে আর বেশি দিন থাকতে পারলো না।

ডিমের হালি কিছুদিন আগেও ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ছিল। সেই ডিমের দাম এখন হালিপ্রতি ৫৫ টাকা। অর্থাৎ কয়েকদিনেই হালি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

মাছ মাংসের দাম তো শুধু বেড়েই চলেছে কিন্তু কমেনি কখনো। কিছুদিন পূর্বেও তেলাপিয়া মাছের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। বর্তমানে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২২০ টাকার ওপরে। কিনে খাওয়ার মত বাজারে এখন আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক নূপুর বলেন, আমার বাচ্চাকাচ্চাকে এখন আর মাছ মাংস কিনে খাওয়াতে পারি না। মাঝে মাঝে ডিমের ঝোল রান্না করে খাওয়াইতাম। এখন সেই উপায়ও আর দেখছি না।

ঢাকার মালিবাগ এবং রামপুরা বাজারের বিক্রেতারা সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, ডিম উৎপাদনে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া প্রচন্ড তাপ প্রবাহের কারণে খামারীদের অনেক মুরগি মারা গিয়েছে। যার কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। যাও সরবরাহ আছে কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি।

ডিমের হালি ৫৫ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা

বাংলাদেশের পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ঢাকায় আরতদাররা প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি করে। সেই সাথে সারাদেশে প্রায় ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তারা মোবাইলের মাধ্যমে। প্রতিদিনের ডিমের দর তারা মোবাইলের মাধ্যমেই সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেয়। এটিকে ডিমের বাজারের সবচাইতে বড় সিন্ডিকেট বলতে পারেন।

এদিকে সবজির বাজারেও আগুন লেগে আছে বেশ কয়দিন ধরেই। রোজার ঈদের পর সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেই বেগুনের দাম কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা ছিল সেটি এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

এদিকে তুলনামূলকভাবে পেঁপের বাজার দর সব সময় কম থাকে কিন্তু সেটির কেজিও এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকা।

কাঁচা মরিচের কেজি অল্প কিছুদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল কিন্তু এখন জায়গা ভেদে ১০০-২০০ টাকা। তবে জাতীয় মুরগি ব্রয়লারের দাম খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু সোনালী বা অন্যান্য জাতের মুরগির কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষ চেষ্টা করছে আয় বাড়ানোর কিংবা ব্যয় কমানোর। কিন্তু লাগামহীন এই দাম বৃদ্ধির যুগে সেটির সামঞ্জস্য করা হয়ে উঠছে না। তাই এখন অনেকটাই দিশেহারা হয়ে উঠছে দেশের জনগণ। আশা করি সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব।