ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাগে কোরবানির নিয়ম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

ভাগে কোরবানির নিয়ম

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আর কিছুদিন পরেই মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ তায়ালার নামে পশু কোরবানি দিতে হয়। কোরবানির পশু হিসেবে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া কিংবা যেকোনো অনুমোদিত পশু আমরা কোরবানি দেই। আবার অনেকের পক্ষে একা একা কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য হয়ে ওঠে না। ভাগে কোরবানির নিয়ম থাকার কারণে বেশ কয়েকজন মিলেও কোরবানি দিয়ে থাকে অনেকে।

ভাগে কোরবানির নিয়ম নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে। কত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়, কিভাবে গোশতের ভাগ বন্টন করতে হয় ইত্যাদি ব্যাপারে নানা রকম প্রশ্ন। আজকে আমি ইসলামী শরীয়তের আলোকে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

সর্বোচ্চ কত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায় সেটা নিয়ে বিভিন্ন জনের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এ ব্যাপারে ইমাম শাফেঈ এবং ইমাম আহমাদ (রহঃ) এর মতবাদ অনুযায়ী একটি পশু সর্বোচ্চ ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। আবার কেউ কেউ বলেন যে সর্বোচ্চ ১০ ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ আছে। তবে ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়ার পক্ষে সবচাইতে বেশি হাদিস রয়েছে।

ভাগে কোরবানির নিয়ম

আমাদের বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বোচ্চ ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়ার মতবাদে বিশ্বাসী। গ্রাম অঞ্চল গুলোতে যাদের একা কোরবানি দেওয়া সামর্থ্য নেই তারা সাধারণত ৭ ভাগে কুরবানী দিয়ে থাকে।

ভাগে কোরবানির নিয়মের ক্ষেত্রে আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, যদি ৭ জন লোক ভাগে কোরবানিতে অংশগ্রহণ করে তাহলে কারো ভাগে এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। অর্থাৎ কেউ ভাগে একটু কম নেবে আবার কেউ একটু বেশি নিবে এরকমটা হওয়া জায়েজ নাই। অবশ্যই সবাইকে সমান ভাগ নিতে হবে। তবে কেউ চাইলে একাই ২ বা ৩ ভাগ নিতে পারেন।

কোরবানির গোশত কিভাবে বন্টন করব?

হাদিস তারা বর্ণিত মহানবী রাসূল (সাঃ), কোরবানির গোশতকে ৩ টি ভাগ করতে বলেছেন। যার মধ্যে একটি ভাগ নিজের জন্য, একটি ভাগ আত্মীয় স্বজনদের জন্য এবং অপর ভাগটি গরিব মিসকীনদের জন্য।

এব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করেন, তোমরা উহা হতে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তদের আহার করাও (সূরা হজ্ব আয়াত ২৮)

এ থেকে বোঝা যায় কোরবানির গোশত শুধু নিজের খাওয়ার জন্য নয়। আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন এবং দুঃস্থদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য নিহত। এতে করে মুসলমানদের ভাতৃত্ব বন্ধন আরো বেশি শক্ত হয় এবং ঈদের আনন্দ সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারেন।

আশা করি আপনারা ভাগের কোরবানির নিয়ম এবং কোরবানির গোশত ভাগের নিয়মগুলি বুঝতে পেরেছেন। কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রির টাকা অবশ্যই এতিমখানা কিংবা দুস্থদের মাঝে দান করে দিবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভাগে কোরবানির নিয়ম

আপডেট সময় : ১২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

আর কিছুদিন পরেই মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ তায়ালার নামে পশু কোরবানি দিতে হয়। কোরবানির পশু হিসেবে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া কিংবা যেকোনো অনুমোদিত পশু আমরা কোরবানি দেই। আবার অনেকের পক্ষে একা একা কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য হয়ে ওঠে না। ভাগে কোরবানির নিয়ম থাকার কারণে বেশ কয়েকজন মিলেও কোরবানি দিয়ে থাকে অনেকে।

ভাগে কোরবানির নিয়ম নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে। কত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়, কিভাবে গোশতের ভাগ বন্টন করতে হয় ইত্যাদি ব্যাপারে নানা রকম প্রশ্ন। আজকে আমি ইসলামী শরীয়তের আলোকে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

সর্বোচ্চ কত ভাগে কোরবানি দেওয়া যায় সেটা নিয়ে বিভিন্ন জনের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এ ব্যাপারে ইমাম শাফেঈ এবং ইমাম আহমাদ (রহঃ) এর মতবাদ অনুযায়ী একটি পশু সর্বোচ্চ ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। আবার কেউ কেউ বলেন যে সর্বোচ্চ ১০ ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ আছে। তবে ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়ার পক্ষে সবচাইতে বেশি হাদিস রয়েছে।

ভাগে কোরবানির নিয়ম

আমাদের বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বোচ্চ ৭ ভাগে কোরবানি দেওয়ার মতবাদে বিশ্বাসী। গ্রাম অঞ্চল গুলোতে যাদের একা কোরবানি দেওয়া সামর্থ্য নেই তারা সাধারণত ৭ ভাগে কুরবানী দিয়ে থাকে।

ভাগে কোরবানির নিয়মের ক্ষেত্রে আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, যদি ৭ জন লোক ভাগে কোরবানিতে অংশগ্রহণ করে তাহলে কারো ভাগে এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। অর্থাৎ কেউ ভাগে একটু কম নেবে আবার কেউ একটু বেশি নিবে এরকমটা হওয়া জায়েজ নাই। অবশ্যই সবাইকে সমান ভাগ নিতে হবে। তবে কেউ চাইলে একাই ২ বা ৩ ভাগ নিতে পারেন।

কোরবানির গোশত কিভাবে বন্টন করব?

হাদিস তারা বর্ণিত মহানবী রাসূল (সাঃ), কোরবানির গোশতকে ৩ টি ভাগ করতে বলেছেন। যার মধ্যে একটি ভাগ নিজের জন্য, একটি ভাগ আত্মীয় স্বজনদের জন্য এবং অপর ভাগটি গরিব মিসকীনদের জন্য।

এব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করেন, তোমরা উহা হতে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তদের আহার করাও (সূরা হজ্ব আয়াত ২৮)

এ থেকে বোঝা যায় কোরবানির গোশত শুধু নিজের খাওয়ার জন্য নয়। আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন এবং দুঃস্থদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য নিহত। এতে করে মুসলমানদের ভাতৃত্ব বন্ধন আরো বেশি শক্ত হয় এবং ঈদের আনন্দ সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারেন।

আশা করি আপনারা ভাগের কোরবানির নিয়ম এবং কোরবানির গোশত ভাগের নিয়মগুলি বুঝতে পেরেছেন। কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রির টাকা অবশ্যই এতিমখানা কিংবা দুস্থদের মাঝে দান করে দিবেন।