ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২৮ জুন শুক্রবার
- আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
গত রবিবার আজারবাইনে প্লেন দূর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু ঘটে। ইরানের নিয়ম অনুসারে কোন প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ঘটলে আগামী ৫০ দিনের মধ্য নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হয়। সে হিসেবে ২৮ জুন শুক্রবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। গত ২০ মে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসকল তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এবং রয়টার্স জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি সহ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও গভর্নর মালেক রাহমাতি কেউই বেঁচে নেই।
প্রয়াত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইব্রাহিম রাইসি বিশ্ব রাজনীতির দরবারে অন্যতম প্রভাবশালী একজন নেতা ছিলেন। তাছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বেশ ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা অনেক কমেছে। এক সময় মনে করা হতো ইব্রাহিম রাইসি হয়তো দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনীর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২৮ জুন শুক্রবার
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মুসলিম দেশ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। যার উদাহরণ, মাত্র ২০ বছর বয়সের তিনি তেহরানের কারার শহরের প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। দীর্ঘ ৫ বছর তিনি সেই পদে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ২০১৯ সালে তিনি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দৃষ্টিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখরার। তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। ইরানের সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে প্রেসিডেন্ট মারা গেলে তার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করবে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী লাভ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি প্রেসিডেন্টের সকল ধরনের দায়িত্ব গুলো পালন করছেন।
তবে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তাকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। অনুমোদন পাবার পরেই তিনি ইরানের সেকেন্ড ইন কমান্ড বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। যে প্রক্রিয়াটি প্রেসিডেন্ট মৃত্যুর আগামী ৫০ দিনের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যম গুলোতে গুঞ্জন উঠছে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে অন্য কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা। যদিও এ ব্যাপারে ইরান এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য দেয়নি। তবে এব্যাপারে তদন্ত চলছে।