নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পলাশতলী ইউনিয়নের এক হৃদয়বিদারক মানবিক সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। প্রবাসী খলিল মিয়ার মা বর্তমানে ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য কোনো কাজ না পেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই বৃদ্ধা ও তার স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খলিল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। এমনকি তিনি তার স্ত্রীকে দুই দফায় বিদেশে নিয়ে গেছেন। অথচ দেশে থাকা তার বৃদ্ধ মা–বাবা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ঋণের চাপে পড়ে খলিল মিয়ার মা বিভিন্ন মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন। ছেলের কাছে আর্থিক সহায়তা চাইলে খলিল মিয়া জানান, তার নিজেরও নাকি অনেক টাকার প্রয়োজন রয়েছে এবং বাড়িতে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকার বেশি পাঠানো তার পক্ষে সম্ভব নয়।
এদিকে পরিবারে খলিল মিয়ার আরও দুই ভাই রয়েছেন। তারা নিজেদের সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী মা–বাবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং সংসারের দায়ভার কিছুটা লাঘব করছেন। তবে ঋণের চাপ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, প্রবাসী সন্তানের অবহেলায় এভাবে বৃদ্ধ মা–বাবার অসহায় হয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সমাজের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, প্রবাসে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও পারিবারিক দায়িত্ব ও মানবিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করলে বৃদ্ধ মা–বাবার জীবন কতটা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।